ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর ১০টি সাপ

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩ ৪৬২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাপের নাম শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যায়। আবার সাপ দেখলে অনেকেই বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমরা সাপকে প্রাণী হিসাবে ভয় করার প্রধান কারণ তাদের বিষ। বিষধর সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়, তাই বিষধর সাপ থেকে সবাই দূরে থাকে। এই সাপগুলির মধ্যে কিছু সাপ আছে বিষহীন, অন্যগুলি অত্যন্ত বিষাক্ত। বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ কি কি? চলুন দেখে নেয়া যাক।
১০. র‌্যাটেল স্নেক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই র‌্যাটলস্নেক পাওয়া যায়। তাদের লেজে বিশেষ র‌্যাটলের মতো অঙ্গ থাকে যা দিয়ে তারা শব্দ করতে পারে। এরা শরীরের দুই-তৃতীয়াংশ লাফ দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। এই সাপে কামড়ালে শিশুরা দ্রুত মারা যায়। এই সাপের বিষ টিস্যু ধ্বংস করে এবং রক্ত জমাট বাঁধে, যার ফলে সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এই সাপের কামড়ের পর শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস, বমি, রক্ত বমি, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৯. ডেথ অ্যাডার
বিষের দিক থেকে নবম স্থানে রয়েছে ডেথ অ্যাডার। এই সাপের কামড়ও নামের সাথে বেশ মিল। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনিতে এই সাপ পাওয়া যায়। ডেথ অ্যাডাররা মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে, কামড়ায় এবং,খেয়ে ফেলে। এক কামড়ে এই সাপ ৪০-১০০ মিলিগ্রাম বিষ ইনজেক্ট করতে পারে। এই সাপের কামড়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং প্যারালাইসিস হয়। একটি কামড়েই শিকার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মারা যায়। এই সাপগুলি বিষ ঢেলে দেওয়ার পরে দ্রুত তাদের বিষের থলিতে আবার বিষ তৈরি করতে পারে।

৮. ভাইপারস
ভাইপাররা মূলত সাপের একটি জাত। এই প্রজাতির সাপ অনেক ধরনের আছে। সারা বিশ্বে ভাইপার পাওয়া যায়। এদের মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়ার ভারত, চীন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বেশি দেখা যায়। এরা খুব দ্রুত রাগ করে এবং প্রধানত রাতে শিকার করে। খুব দ্রুত আক্রমণ করে থাকে। ভাইপারের কামড় খুব বেদনাদায়ক। পরে শ্বাসকষ্টের সাথে প্যারালাইসিস হয় এবং হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে কমে যায়। এই সাপ কামড়ালে শরীরের উপর থেকে বোঝা যায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়। এমনকি যদি দ্রুত চিকিৎসা করা হয়, তীব্র ব্যথা ২-৪ সপ্তাহ ধরে থাকে।

৭. ফিলিপাইন্স কোবরা
বিশ্বের সমস্ত কোবরাই বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক সাপ। কিন্তু ফিলিপাইন কোবরা অন্যান্য কোবরা থেকে একটু আলাদা। এরা কোবরা প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত। তারা প্রায় তিন মিটার দূর থেকে বিষ নিক্ষেপ করতে পারে। এই সাপে কামড়ালে আধা ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে। কামড়ানোর পর পক্ষাঘাত, মাথা ঘোরা, বমি, কোমর ব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৬. টাইগার স্নেক
টাইগার সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলির মধ্যে একটি। এই সাপে কামড়ানোর ত্রিশ মিনিটের মধ্যে মানুষ মারা যায়। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ এই সাপের কামড়ে মারা যায়। এরা সাধারণত মানুষ দেখলেই পালিয়ে যায়। কিন্তু একবার রেগে গেলে এই সাপটি খুব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। টাইগার স্নেক কখনই লক্ষ্য মিস করে না।

৫. ব্ল্যাক মাম্বা
ব্ল্যাক মাম্বা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পাওয়া একটি ভয়ঙ্কর সাপ। আক্রমণাত্মক প্রকৃতির জন্য এরা বিশ্বে প্রথম। একবার যদি কোনো ব্যক্তি ব্ল্যাক মাম্বার দ্বারা ধরা পরে, এটা খুব অসম্ভাব্য যে সেই ব্যক্তি কামড় খাওয়া ছাড়া ফিরে আসতে পারবে। কারণ এই সাপ যাদের উপর ক্ষেপে যায় তাদেরকে ঘোড়ার মত তাড়া করে কামড়ে দেয়।এরা বেশ দ্রুতগামী। দেখতে মূলত কালো। ব্ল্যাক মাম্বা ঘণ্টায় প্রায় বিশ কিলোমিটার বেগে তাড়া করার ক্ষমতা রাখে। এরা একই সারিতে ১২ বারের বেশি কামড় দেয়। এদের প্রতিটি কামড় ১০০-১২০ গ্রাম বিষ নির্গত করে, যা ১০-২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ককে মারার জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মানুষ।

৪. টাইপান
টাইপান সাপ অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। টাইপানের একটি কামড়ে ১২,০০০ গিনিপিগ মারার জন্য যথেষ্ট বিষ রয়েছে। এর বিষ রক্তনালীকে আটকে রাখে। এই সাপের কামড় থেকে বাঁচার সংখ্যা খুবই কম। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও অনেক সময় রোগীকে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে অনেক দিন থাকতে হয়।

৩. ব্লু ক্রিট
ব্লু ক্রিট সাপ দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। ক্রিট অন্যান্য সাপ শিকার করে এবং খেয়ে বেঁচে থাকে। রাতে এরা বের হয়। তারা অন্ধকারে আক্রমণ করতে পছন্দ করে। এই সাপগুলো এদের নিজস্ব প্রজাতির সাপ খায়। ৮৫ শতাংশ মানুষ মারা যায় এই সাপের কামড়ে। এই সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।

২. ইনল্যান্ড টাইপান
ইনল্যান্ড টাইপান, টাইপান সাপের আরেকটি জাত।বিষের ক্ষমতার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এদেরকে ক্ষুদ্র-আঁশের সাপও বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে সাপটি দানদারাবিল্লা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে যে এই সাপ এক কামড়ে যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে তা সহজেই একশোরও বেশি পূর্ণবয়সী মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। যদি কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, এই সাপের কামড় থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। তারা ঋতুর সাথে রঙ পরিবর্তন করতে পারে – গ্রীষ্মে জলপাই আবার শীতকালে ধূসর। তারা আফ্রিকার ব্ল্যাক মাম্বা বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লং কিং কোবরার মতো দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক নয়। অত্যন্ত বিষাক্ত এই সাপ সাধারণত মানুষের কাছে আসতে চায় না, আক্রমণ করতেও চায় না। এদের বিষ কোবরার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি শক্তিশালী।

১. বেলচারস সী স্নেক
বেলচারস সী স্নেক হল ‘ভেনামাস’ সরীসৃপদের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলে সমুদ্রের জলে এদের দেখা যায়। এই সাপের একটি কামড় থেকে যে পরিমাণ বিষ নির্গত হয় তা দিয়ে প্রায় ১০০০ পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে এই সাপটি খুবই শান্ত এবং লাজুক।বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার সময় জালের ভিতরে ধরা পড়ে। এই সাপগুলো মাঝে মাঝে মাটিতে চলে যায়। তারা ৭৮ ঘন্টা পানির নিচে শ্বাসরোধ করে থাকতে পারে। এ সময় তারা শিকার ধরে ও বিশ্রাম নিয়ে থাকে।

বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর ১০টি সাপ

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাপের নাম শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যায়। আবার সাপ দেখলে অনেকেই বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমরা সাপকে প্রাণী হিসাবে ভয় করার প্রধান কারণ তাদের বিষ। বিষধর সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়, তাই বিষধর সাপ থেকে সবাই দূরে থাকে। এই সাপগুলির মধ্যে কিছু সাপ আছে বিষহীন, অন্যগুলি অত্যন্ত বিষাক্ত। বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ কি কি? চলুন দেখে নেয়া যাক।
১০. র‌্যাটেল স্নেক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই র‌্যাটলস্নেক পাওয়া যায়। তাদের লেজে বিশেষ র‌্যাটলের মতো অঙ্গ থাকে যা দিয়ে তারা শব্দ করতে পারে। এরা শরীরের দুই-তৃতীয়াংশ লাফ দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। এই সাপে কামড়ালে শিশুরা দ্রুত মারা যায়। এই সাপের বিষ টিস্যু ধ্বংস করে এবং রক্ত জমাট বাঁধে, যার ফলে সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এই সাপের কামড়ের পর শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস, বমি, রক্ত বমি, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৯. ডেথ অ্যাডার
বিষের দিক থেকে নবম স্থানে রয়েছে ডেথ অ্যাডার। এই সাপের কামড়ও নামের সাথে বেশ মিল। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনিতে এই সাপ পাওয়া যায়। ডেথ অ্যাডাররা মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে, কামড়ায় এবং,খেয়ে ফেলে। এক কামড়ে এই সাপ ৪০-১০০ মিলিগ্রাম বিষ ইনজেক্ট করতে পারে। এই সাপের কামড়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং প্যারালাইসিস হয়। একটি কামড়েই শিকার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মারা যায়। এই সাপগুলি বিষ ঢেলে দেওয়ার পরে দ্রুত তাদের বিষের থলিতে আবার বিষ তৈরি করতে পারে।

৮. ভাইপারস
ভাইপাররা মূলত সাপের একটি জাত। এই প্রজাতির সাপ অনেক ধরনের আছে। সারা বিশ্বে ভাইপার পাওয়া যায়। এদের মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়ার ভারত, চীন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বেশি দেখা যায়। এরা খুব দ্রুত রাগ করে এবং প্রধানত রাতে শিকার করে। খুব দ্রুত আক্রমণ করে থাকে। ভাইপারের কামড় খুব বেদনাদায়ক। পরে শ্বাসকষ্টের সাথে প্যারালাইসিস হয় এবং হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে কমে যায়। এই সাপ কামড়ালে শরীরের উপর থেকে বোঝা যায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়। এমনকি যদি দ্রুত চিকিৎসা করা হয়, তীব্র ব্যথা ২-৪ সপ্তাহ ধরে থাকে।

৭. ফিলিপাইন্স কোবরা
বিশ্বের সমস্ত কোবরাই বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক সাপ। কিন্তু ফিলিপাইন কোবরা অন্যান্য কোবরা থেকে একটু আলাদা। এরা কোবরা প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত। তারা প্রায় তিন মিটার দূর থেকে বিষ নিক্ষেপ করতে পারে। এই সাপে কামড়ালে আধা ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে। কামড়ানোর পর পক্ষাঘাত, মাথা ঘোরা, বমি, কোমর ব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৬. টাইগার স্নেক
টাইগার সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলির মধ্যে একটি। এই সাপে কামড়ানোর ত্রিশ মিনিটের মধ্যে মানুষ মারা যায়। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ এই সাপের কামড়ে মারা যায়। এরা সাধারণত মানুষ দেখলেই পালিয়ে যায়। কিন্তু একবার রেগে গেলে এই সাপটি খুব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। টাইগার স্নেক কখনই লক্ষ্য মিস করে না।

৫. ব্ল্যাক মাম্বা
ব্ল্যাক মাম্বা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পাওয়া একটি ভয়ঙ্কর সাপ। আক্রমণাত্মক প্রকৃতির জন্য এরা বিশ্বে প্রথম। একবার যদি কোনো ব্যক্তি ব্ল্যাক মাম্বার দ্বারা ধরা পরে, এটা খুব অসম্ভাব্য যে সেই ব্যক্তি কামড় খাওয়া ছাড়া ফিরে আসতে পারবে। কারণ এই সাপ যাদের উপর ক্ষেপে যায় তাদেরকে ঘোড়ার মত তাড়া করে কামড়ে দেয়।এরা বেশ দ্রুতগামী। দেখতে মূলত কালো। ব্ল্যাক মাম্বা ঘণ্টায় প্রায় বিশ কিলোমিটার বেগে তাড়া করার ক্ষমতা রাখে। এরা একই সারিতে ১২ বারের বেশি কামড় দেয়। এদের প্রতিটি কামড় ১০০-১২০ গ্রাম বিষ নির্গত করে, যা ১০-২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ককে মারার জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মানুষ।

৪. টাইপান
টাইপান সাপ অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। টাইপানের একটি কামড়ে ১২,০০০ গিনিপিগ মারার জন্য যথেষ্ট বিষ রয়েছে। এর বিষ রক্তনালীকে আটকে রাখে। এই সাপের কামড় থেকে বাঁচার সংখ্যা খুবই কম। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও অনেক সময় রোগীকে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে অনেক দিন থাকতে হয়।

৩. ব্লু ক্রিট
ব্লু ক্রিট সাপ দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। ক্রিট অন্যান্য সাপ শিকার করে এবং খেয়ে বেঁচে থাকে। রাতে এরা বের হয়। তারা অন্ধকারে আক্রমণ করতে পছন্দ করে। এই সাপগুলো এদের নিজস্ব প্রজাতির সাপ খায়। ৮৫ শতাংশ মানুষ মারা যায় এই সাপের কামড়ে। এই সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।

২. ইনল্যান্ড টাইপান
ইনল্যান্ড টাইপান, টাইপান সাপের আরেকটি জাত।বিষের ক্ষমতার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এদেরকে ক্ষুদ্র-আঁশের সাপও বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে সাপটি দানদারাবিল্লা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে যে এই সাপ এক কামড়ে যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে তা সহজেই একশোরও বেশি পূর্ণবয়সী মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। যদি কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, এই সাপের কামড় থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। তারা ঋতুর সাথে রঙ পরিবর্তন করতে পারে – গ্রীষ্মে জলপাই আবার শীতকালে ধূসর। তারা আফ্রিকার ব্ল্যাক মাম্বা বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লং কিং কোবরার মতো দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক নয়। অত্যন্ত বিষাক্ত এই সাপ সাধারণত মানুষের কাছে আসতে চায় না, আক্রমণ করতেও চায় না। এদের বিষ কোবরার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি শক্তিশালী।

১. বেলচারস সী স্নেক
বেলচারস সী স্নেক হল ‘ভেনামাস’ সরীসৃপদের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলে সমুদ্রের জলে এদের দেখা যায়। এই সাপের একটি কামড় থেকে যে পরিমাণ বিষ নির্গত হয় তা দিয়ে প্রায় ১০০০ পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে এই সাপটি খুবই শান্ত এবং লাজুক।বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার সময় জালের ভিতরে ধরা পড়ে। এই সাপগুলো মাঝে মাঝে মাটিতে চলে যায়। তারা ৭৮ ঘন্টা পানির নিচে শ্বাসরোধ করে থাকতে পারে। এ সময় তারা শিকার ধরে ও বিশ্রাম নিয়ে থাকে।