ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জীবিত ইসরায়েলিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ৩৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ কণ্ঠ।। সোমবার।। ১৩.১০.২৫।।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি থাকা জীবিত বাকি ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল আটটার পর বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।  রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই রেডক্রসের গাড়িগুলো তাদের সংগ্রহ করে গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এদিন মুক্তি পাওয়া বন্দিদের দ্বিতীয় দল তারা।

এর মাধ্যমে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকেই হস্তান্তর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ পরে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে হামাস জীবিত ২০ জিম্মির নামের তালিকা ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছিল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় প্রায় এক হাজার হামাস যোদ্ধা। তারা গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।

পরদিন, অর্থাৎ ৮ অক্টোবর, হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ভয়াবহ সেই অভিযানে গত দুই বছরে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।

ট্যাগস :

জীবিত ইসরায়েলিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস

আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ কণ্ঠ।। সোমবার।। ১৩.১০.২৫।।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি থাকা জীবিত বাকি ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল আটটার পর বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।  রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই রেডক্রসের গাড়িগুলো তাদের সংগ্রহ করে গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এদিন মুক্তি পাওয়া বন্দিদের দ্বিতীয় দল তারা।

এর মাধ্যমে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকেই হস্তান্তর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ পরে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে হামাস জীবিত ২০ জিম্মির নামের তালিকা ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছিল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় প্রায় এক হাজার হামাস যোদ্ধা। তারা গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।

পরদিন, অর্থাৎ ৮ অক্টোবর, হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ভয়াবহ সেই অভিযানে গত দুই বছরে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।