সরকার আগামী নির্বাচন যুক্তরাজ্যের মতো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চায়- প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০১:৩০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩ ৫৬ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারও যুক্তরাজ্যের মতো বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে চায় এবং এ লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি ও তার স্ত্রী সুজানা স্পার্কসের সঙ্গে ক্লারিজের হোটেলের মিটিং রুমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব মন্তব্য করেন। বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র বোন শেখ রেহানাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমার দল সব সময় দেশে গণতন্ত্র বজায় রেখেছে। আমরা দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছি।’
বৈঠক শেষে গতকাল (৬ মে) হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সবার সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছে, যাতে কেউ নির্বাচনে কারচুপি করতে না পারে, ছবিসহ ভোটার তালিকা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোট কারচুপির জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যোগ করে ভোটার তালিকা তৈরি করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যার অনুসরণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করেছে।
মোমেন বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ব্রিটেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
মোমেন বলেন, ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে একটি বিল উত্থাপন করে এবং রেজ্যুলেশন পাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে এলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম প্রমুখ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।