সব পক্ষের পরামর্শ নিয়ে হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন: তথ্য উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০২:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৭৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।
তথ্য ও সম্প্রচার; ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সব পক্ষের সঙ্গে বসে পরামর্শ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করতে চাই।
আজ (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদ মাধ্যমের সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্ত আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, এটা খুবই যুক্তিযুক্ত যে সাংবাদিকতা যদি পেশা হয় তাহলে আসলে কতটুকু পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমাদের দেশের সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছে। সেই কাজ করতে যদি না পারে তাহলে তার পেছনে কারণগুলো কী এবং তার সমাধানগুলো কী। এখানে সেই কারণগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অনেক আইন-কানুন, বাধা-নিষেধ থাকে। সাংবাদিকতাকে এক ধরণের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা থাকে। দ্বিতীয়ত সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক জায়গাটা তুলে ধরা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যমে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়। সাংবাদিকতাকে যদি পেশাদারিত্বের কথা বলি সেই ধরণের পেশাদারিত্ব কালচার আমাদের দেশে অনুপস্থিত এবং মিডিয়া লিটারেসি আমাদের মধ্যে গড়ে উঠেনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের যে আন্দোলন বা অভ্যুত্থান- সেখানে সাংবাদিকরা কীভাবে কাজ করেছেন, সাংবাদিকতার কী ভূমিকা ছিল। সেটা গণমাধ্যম স্টেক হোল্ডারদের একেকজনের একেক অভিজ্ঞতা। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন, যারা সম্পাদক হিসেবে বা হাউজে কাজ করেছেন, মালিকদের এক ধরণের ভূমিকা ছিল। সে জায়গাটায় এই আন্দোলন একটা বড় কেস স্টাডি। এই আন্দোলনে সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের ভূমিকা কী ছিল এটা নিয়েও আমাদের খুবই নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। আলোচনা-সমালোচনা নির্মোহভাবে, নিরপেক্ষভাবে করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন আন্দোলন করেছি বা বিভিন্ন সময়ে মাঠ পর্যায়ে যে সাংবাদিকরা কভার করতেন, ওই নিউজটা প্রকাশ হতো না। একটা কথা শুনতে হতো যে হাউজ পলিসি আছে, হাউজ ঠিক করে দেয়। হাউজের ওপরেও আবার হাউজ আছে। আসলে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কেউ দায়িত্ব নেয় না। আমাদের আন্দোলনের সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় শাট ডাউন হওয়ায় আন্দোলনের পক্ষে কোনো তথ্য প্রচার করা হয়নি। কী তথ্য প্রচার করা হয়েছে সেটা দেশের মানুষ দেখেছে। এই ঘটনার আসলে জবাবদিহিতা করবে কে, দায়িত্ব নেবে কে? দায়িত্বশীল কাউকে জিজ্ঞাস করা হলে বলা হবে যে ডিজিএফআই থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে। কাউকে না কাউকে আসলে দায়িত্বটা নিতে হবে। সরকারের জায়গা থেকে আমরা সেই নীতিগত সংস্কারের কথা বলছি। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের ভিতর থেকে সেই রেজিট্যান্স প্রয়োজন। আমরা নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে রেজিটেন্স দেখেছিলাম। কিন্তু এই অভ্যুত্থানে সেই রেজিট্যান্সটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আসেনি।
মাসিক আইন ও বিচার এবং মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অ্যাডভোকেট সফিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আর রাজী, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী বক্তব্য দেন।










