শালিখায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৪:৩১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩ ১৫ বার পঠিত
মাগুরা প্রতিনিধিঃ
মাগুরার শালিখায় তৃতীয় শ্রেণীর এক এতিম ছাত্রীকে ধষর্ণের চেষ্টার অভিযোগে সোরাপ মোল্যা (৪৫) কে আটক করে আদলতে সোর্পদ করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
মামলারবাদী ভিকটিমের সৎ মা জানান, উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের শিশু কণ্যা ও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের মখছেদ মোল্যার পুত্র সোরাপ মোল্যা (৪৫) বিস্কুট ও টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের পেয়ারা বাগানে নিয়ে মুখে কাপুড় বেঁধে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির সৎ মা আরো জানান, এ ঘটনার পর মেয়ে বাড়ি এসে কেঁদে পড়ে। পরে সমস্ত ঘটনা খুলে বললে আমরা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তপতী রানী খাঁ কে ঘটনা জানাই। পরে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের সভাপতিকে অবগত করেন। তিনি আরো বলেন, সে আমার স্বামীর অন্য স্ত্রী’র মেয়ে হলেও আমার পেটের সন্তানের মতোই তাকে দেখি। স্বামী মারা যাওয়ার পর চার ছেলে-মেয়েসহ অসুস্থ্য শাশুড়ীকে নিয়ে পরের বাড়ীতে কাজ করে যা পায় তা দিয়েই আমাদের সংসারসহ তাদের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমাদের দেখার কেউ নেই। আর এ সুযোগে সোরাপ মোল্যা আমার মেয়েকে এভাবে সর্বনাশ করেছে আমি এর ন্যায্য বিচার চাই। এ ঘটনায় পাঁচকাহুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তপতী রানী খাঁ বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে জানার পরপরই আমি বিদ্যালয়ে মিটিং ডেকেছি। মেয়েটি আমার বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আমার এলাকাবাসীর কাছে এর ন্যায্য বিচার দাবী করছি। শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বিশারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের সৎ মা বাদী হয়ে শালিখা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১২, তারিখ ২৮/০২/২০২৩ইং। ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) তৎসহ পেনাল কোড ১৯০/২০১/৫১১ ধারা এবং ২০১৩ সালের আদালত অবমাননার আইনে ১৩ ধারা মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়। এ ছাড়া ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা করা জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে প্ররেণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন।