ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপো’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ৩এক্স হ্যান্ডসেটের উপর অফারের ঘোষণা মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান Logo গতিতে নাকাল পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৭ Logo রাজশাহীতে শুটিং হওয়া ফারুকীর ‌‘৮৪০’ আসছে Logo শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট Logo বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে Logo ভয়মুক্ত সম্প্রীতিময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা Logo বর্ষপূর্তিতে স্মার্টফোন কিনলে উপহার ও ছাড় দেবে ভিভো Logo যুব বিশ্বকাপ ২০২৫ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দলকে বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা Logo এবার শুটিং সেটে সালমানকে হত্যার হুমকি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে শাস্তি পেলেন দুই ক্যারিবিয়ান

শরীরে পানিশূণ্যতার অভাবেও হতে পারে স্ট্রোক!

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ইস্কেমিক স্ট্রোক হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের স্ট্রোক, যে স্ট্রোকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। হৃৎপিণ্ড থেকে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালিত হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের দিকে যাওয়া ধমনীতে বাধা থাকলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত যেতে পারে না। মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেন পায় না। এর ফলে একজন ব্যক্তির প্যারালাইসিস হয়ে যায়। একেই বলে স্ট্রোক।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে ডিহাইড্রেশনের কারণেও স্ট্রোক হতে পারে। এই বিষয়ে, ব্যাঙ্গালোরের ফোর্টিস হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট গুরুপ্রসাদ হাসুরকার আইএএনএসকে বলেন যে শরীরে পানির অভাব স্ট্রোকের সাথে জড়িত নয়।

তবে পানির অভাবে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। আর সেই পরিবর্তনের কারণে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। এর ফলে স্ট্রোক হতে পারে। তবে ধমনী স্ট্রোকের পরিবর্তে সেরিব্রাল ভেনাস স্ট্রোক হয়।

স্ট্রোকের জন্য বেশ কিছু কারণও দায়ী। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, শরীর পানিশূন্য হলে রক্ত ঘন হয়ে যায়। রক্ত ঘন হয়ে গেলে ধীরে ধীরে চলে। ফলে রক্তচাপও কমে যায়। রক্তচাপ কমে গেলে মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছায় না। ফলে মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া শরীরে পানি কমে গেলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশে অক্সিজেন কমে যায়। যা স্ট্রোকের একটি বড় কারণ। ডিহাইড্রেশন এই দৃষ্টিকোণ থেকে শরীরকেও প্রভাবিত করতে পারে।

ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলি হল-

১. মাথাব্যথা
২. রক্তচাপ কমে যাওয়া
৩. ইউরিন ইনফেকশন
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য
৫. দুর্বলতা
৬. শুষ্ক ত্বক
৭. জয়েন্টগুলোতে ব্যথা
৮. ওজন বৃদ্ধি
৯. কিডনি ফেইলিউর ইত্যাদি।

ডিহাইড্রেশন ঝুঁকি কমাবেন যেভাবে-

আপনি যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও তৃষ্ণার্ত হওয়া অনুভব করেন তাহলে বারবার অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

এ ছাড়া দিনে পর্যাপ্ত তরল পান করা উচিত যাতে আপনার প্রস্রাবের রং পরিষ্কার থাকে। বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও বেশি করে তরল খাবার যেমন স্যুপ, তাজা ফলের রস পান করুন।

শরীরে পানিশূণ্যতার অভাবেও হতে পারে স্ট্রোক!

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ইস্কেমিক স্ট্রোক হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের স্ট্রোক, যে স্ট্রোকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। হৃৎপিণ্ড থেকে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালিত হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের দিকে যাওয়া ধমনীতে বাধা থাকলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত যেতে পারে না। মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেন পায় না। এর ফলে একজন ব্যক্তির প্যারালাইসিস হয়ে যায়। একেই বলে স্ট্রোক।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে ডিহাইড্রেশনের কারণেও স্ট্রোক হতে পারে। এই বিষয়ে, ব্যাঙ্গালোরের ফোর্টিস হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট গুরুপ্রসাদ হাসুরকার আইএএনএসকে বলেন যে শরীরে পানির অভাব স্ট্রোকের সাথে জড়িত নয়।

তবে পানির অভাবে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। আর সেই পরিবর্তনের কারণে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। এর ফলে স্ট্রোক হতে পারে। তবে ধমনী স্ট্রোকের পরিবর্তে সেরিব্রাল ভেনাস স্ট্রোক হয়।

স্ট্রোকের জন্য বেশ কিছু কারণও দায়ী। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, শরীর পানিশূন্য হলে রক্ত ঘন হয়ে যায়। রক্ত ঘন হয়ে গেলে ধীরে ধীরে চলে। ফলে রক্তচাপও কমে যায়। রক্তচাপ কমে গেলে মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছায় না। ফলে মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া শরীরে পানি কমে গেলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশে অক্সিজেন কমে যায়। যা স্ট্রোকের একটি বড় কারণ। ডিহাইড্রেশন এই দৃষ্টিকোণ থেকে শরীরকেও প্রভাবিত করতে পারে।

ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলি হল-

১. মাথাব্যথা
২. রক্তচাপ কমে যাওয়া
৩. ইউরিন ইনফেকশন
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য
৫. দুর্বলতা
৬. শুষ্ক ত্বক
৭. জয়েন্টগুলোতে ব্যথা
৮. ওজন বৃদ্ধি
৯. কিডনি ফেইলিউর ইত্যাদি।

ডিহাইড্রেশন ঝুঁকি কমাবেন যেভাবে-

আপনি যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও তৃষ্ণার্ত হওয়া অনুভব করেন তাহলে বারবার অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

এ ছাড়া দিনে পর্যাপ্ত তরল পান করা উচিত যাতে আপনার প্রস্রাবের রং পরিষ্কার থাকে। বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও বেশি করে তরল খাবার যেমন স্যুপ, তাজা ফলের রস পান করুন।