ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজা রেখেও যেভাবে করবেন শরীরচর্চা

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:০১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ৮৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
অনেকে রোজা রাখার পর ব্যায়াম করতে দ্বিধা করেন। কিন্তু শরীর ফিট রাখতে অন্তত একটু ব্যায়াম করা দরকার। আপনি কখন ব্যায়াম করবেন এবং কতটা ব্যায়াম করবেন তা আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজার দিনে ৩০ মিনিট ওয়ার্ম-আপ, হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, হালকা গতিতে দৌড়ানোর মাধ্যমে ফিটনেস ঠিক রাখা যায়।

# এক্ষেত্রে রোজা রাখার আগে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করলে রোজায় আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। এজন্য ব্যায়ামের গতি ও সময় কমাতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে।
# ইফতার এবং রাতের খাবারের মধ্যবর্তী সময়টি ব্যায়াম করার সেরা সময়। ইফতারের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করতে পারেন।
# বিকালে ব্যায়াম করলে অনেক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা অবস্থায় বিকেলে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
# ইফতারের ১ ঘণ্টা পর কার্ডিও সেশন করা যায়। তবে ইফতারের পরপরই পেট ভরে ব্যায়াম করা ঠিক নয়।
# ভারী খাবার দিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। তাই হালকা ইফতার নিলে ভালো হবে। বেশি তেল বা ঘি-তে ভাজা খাবার না খেয়ে দই, চিড়া, ছোলা, শসার সালাদ, ফল ইত্যাদি খেলে খারাপ লাগবে না।
#রাতে একটু হাঁটলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে।
# হালকা ব্যায়ামও করা যেতে পারে ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে। রাতের খাবার থেকে শক্তি সংগ্রহের পর ব্যায়াম করে সেহরি খেতে পারেন। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালকা ব্যায়াম করলে সারাদিন সতেজ থাকা যায়।
# অথবা সেহরি খাওয়ার পরপরই না ঘুমিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
# ব্যথা উপশমে যেসব ব্যায়াম করতে বলা হয়, সেগুলো রোজাদাররাও দিনে দুই বা তিনবার করতে পারেন।

রোজা রেখেও যেভাবে করবেন শরীরচর্চা

আপডেট সময় : ০২:০১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:
অনেকে রোজা রাখার পর ব্যায়াম করতে দ্বিধা করেন। কিন্তু শরীর ফিট রাখতে অন্তত একটু ব্যায়াম করা দরকার। আপনি কখন ব্যায়াম করবেন এবং কতটা ব্যায়াম করবেন তা আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজার দিনে ৩০ মিনিট ওয়ার্ম-আপ, হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, হালকা গতিতে দৌড়ানোর মাধ্যমে ফিটনেস ঠিক রাখা যায়।

# এক্ষেত্রে রোজা রাখার আগে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করলে রোজায় আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। এজন্য ব্যায়ামের গতি ও সময় কমাতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে।
# ইফতার এবং রাতের খাবারের মধ্যবর্তী সময়টি ব্যায়াম করার সেরা সময়। ইফতারের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করতে পারেন।
# বিকালে ব্যায়াম করলে অনেক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা অবস্থায় বিকেলে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
# ইফতারের ১ ঘণ্টা পর কার্ডিও সেশন করা যায়। তবে ইফতারের পরপরই পেট ভরে ব্যায়াম করা ঠিক নয়।
# ভারী খাবার দিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। তাই হালকা ইফতার নিলে ভালো হবে। বেশি তেল বা ঘি-তে ভাজা খাবার না খেয়ে দই, চিড়া, ছোলা, শসার সালাদ, ফল ইত্যাদি খেলে খারাপ লাগবে না।
#রাতে একটু হাঁটলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে।
# হালকা ব্যায়ামও করা যেতে পারে ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে। রাতের খাবার থেকে শক্তি সংগ্রহের পর ব্যায়াম করে সেহরি খেতে পারেন। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালকা ব্যায়াম করলে সারাদিন সতেজ থাকা যায়।
# অথবা সেহরি খাওয়ার পরপরই না ঘুমিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
# ব্যথা উপশমে যেসব ব্যায়াম করতে বলা হয়, সেগুলো রোজাদাররাও দিনে দুই বা তিনবার করতে পারেন।