ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

‘রিঅ্যাকটিভ নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ৫০ বার পঠিত

গাজীপুর প্রতিনিধি :
সাউথ এশিয়ান নাইট্রোজেন হাবের গবেষণা ও স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি), গাজীপুরে দিনব্যাপী রিঅ্যাকটিভ নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাউথ এশিয়ান নাইট্রোজেন হাব, দক্ষিণ এশীয় আটটি দেশের একটি গবেষণা প্রকল্প যা যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি দ্বারা পরিচালিত। কর্মশালায় প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি। তিনি তাঁর বক্তৃতায় ‘নাইট্রোজেনের অত্যাধিক এবং অকার্যকর ব্যবহার উৎপাদন খরচ বাড়ায় এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকী’- মর্মে মত প্রকাশ করেন। টেকসই ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় নাইট্রোজেন সারের পরিমিত ব্যবহারের উপর জোর দেন তিনি। হাব-ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মার্ক সাটন যুক্তরাজ্য থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে নাইট্রোজেন চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। কর্মশালার বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়াশীল নাইট্রোজেন মাটির স্বাস্থ্যের অবনতির অন্যতম কারণ। তিনি আরো বলেন, এটি পরিবেশগত হুমকিকে বাড়িয়ে তোলে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়ায় যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনেরও অন্যতম কারণ। কর্মশালার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া তাঁর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল নাইট্রোজেন দূষণের একটি হটস্পট। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কর্মশালায় এই ধরনের স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার উপায়গুলো খুঁজে বের করবে যা নাইট্রোজেন ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে এবং পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাবে। কর্মশালায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা কার্যক্রম ভার্চুয়ালী উপস্থাপন করেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষক প্রতিনিধি, গবেষক, শিক্ষবিদ, স্নাতকোত্তর ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ প্রমুখ স্টেকহোল্ডারবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

‘রিঅ্যাকটিভ নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

গাজীপুর প্রতিনিধি :
সাউথ এশিয়ান নাইট্রোজেন হাবের গবেষণা ও স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি), গাজীপুরে দিনব্যাপী রিঅ্যাকটিভ নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাউথ এশিয়ান নাইট্রোজেন হাব, দক্ষিণ এশীয় আটটি দেশের একটি গবেষণা প্রকল্প যা যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি দ্বারা পরিচালিত। কর্মশালায় প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি। তিনি তাঁর বক্তৃতায় ‘নাইট্রোজেনের অত্যাধিক এবং অকার্যকর ব্যবহার উৎপাদন খরচ বাড়ায় এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকী’- মর্মে মত প্রকাশ করেন। টেকসই ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় নাইট্রোজেন সারের পরিমিত ব্যবহারের উপর জোর দেন তিনি। হাব-ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মার্ক সাটন যুক্তরাজ্য থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে নাইট্রোজেন চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। কর্মশালার বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়াশীল নাইট্রোজেন মাটির স্বাস্থ্যের অবনতির অন্যতম কারণ। তিনি আরো বলেন, এটি পরিবেশগত হুমকিকে বাড়িয়ে তোলে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়ায় যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনেরও অন্যতম কারণ। কর্মশালার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া তাঁর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল নাইট্রোজেন দূষণের একটি হটস্পট। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কর্মশালায় এই ধরনের স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার উপায়গুলো খুঁজে বের করবে যা নাইট্রোজেন ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে এবং পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাবে। কর্মশালায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা কার্যক্রম ভার্চুয়ালী উপস্থাপন করেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষক প্রতিনিধি, গবেষক, শিক্ষবিদ, স্নাতকোত্তর ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ প্রমুখ স্টেকহোল্ডারবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।