ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর নিউমাকের্টের ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব অনেক ব্যবসায়ী

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ৮৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক ব্যবসায়ী। কথা হয় ব্যবসায়ী মাহবুব শেখের সঙ্গে। ওই মার্কেটে তার চারটি দোকান রয়েছে। এসব দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। প্রতিটি দোকানের জন্য ৩০ লাখ অগ্রিম দেওয়া। মাহবুব শেখ বলেন, আমার সব শেষ। গতকাল কোটি টাকার বেশি মালামাল ছিল, আজ শূন্য। কার কাছে চাইতে হবে? কাকে কী বলবেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না বলে কান্নায় ফেটে পড়লেন ব্যবসায়ী। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এই ব্যবসায়ী এসব কথা বলেন।

পাশের মার্কেটের গুডলাক সুজের মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, “আমাদের এখানে আগুন লাগেনি। তবে নিউ সুপার মার্কেটের দেয়ালের পাশের মার্কেট হিসেবে ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই মালামাল নিরাপদ দূরত্বে রেখেছি।

একই কথা বললেন সেলসম্যান মাসুম। তিনি বলেন, দোকানের আলনা থেকে মালামাল নামিয়েছি। অন্যান্য বাজারের ক্ষেত্রেও দেখলাম একের পর এক আগুন লেগেছে। তাই সাবধানে মাল নামিয়ে রাখছি।

আগুন লাগার পেছনে ফুটওভার ব্রিজ ভাঙাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত, যা নেভানো যায়নি বলে অভিযোগ তাদের। আমরা আপাতত ফুটওভার ব্রিজ না ভাঙার দাবি জানিয়েছিলাম। অন্তত রোজার মাস বন্ধের দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

কথা হয় ওবায়দুল্লাহ রনি নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তার পাঁচটি দোকান ছিল, যেখানে এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। তিনি বলেন, গত রমজানে ব্রিজ ভাঙার কথা বলা হলেও আমরা রমজানে ভাঙতে না বললে সিটি করপোরেশন রাজি হয়। ঈদের আর মাত্র ৭ দিন বাকি, এ সময় কেন ভাঙতে হবে! রোজার পরে ভাঙলেই হতো।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে আমরা নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার কাজ চলাকালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

রাজধানীর নিউমাকের্টের ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব অনেক ব্যবসায়ী

আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক ব্যবসায়ী। কথা হয় ব্যবসায়ী মাহবুব শেখের সঙ্গে। ওই মার্কেটে তার চারটি দোকান রয়েছে। এসব দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। প্রতিটি দোকানের জন্য ৩০ লাখ অগ্রিম দেওয়া। মাহবুব শেখ বলেন, আমার সব শেষ। গতকাল কোটি টাকার বেশি মালামাল ছিল, আজ শূন্য। কার কাছে চাইতে হবে? কাকে কী বলবেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না বলে কান্নায় ফেটে পড়লেন ব্যবসায়ী। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এই ব্যবসায়ী এসব কথা বলেন।

পাশের মার্কেটের গুডলাক সুজের মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, “আমাদের এখানে আগুন লাগেনি। তবে নিউ সুপার মার্কেটের দেয়ালের পাশের মার্কেট হিসেবে ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই মালামাল নিরাপদ দূরত্বে রেখেছি।

একই কথা বললেন সেলসম্যান মাসুম। তিনি বলেন, দোকানের আলনা থেকে মালামাল নামিয়েছি। অন্যান্য বাজারের ক্ষেত্রেও দেখলাম একের পর এক আগুন লেগেছে। তাই সাবধানে মাল নামিয়ে রাখছি।

আগুন লাগার পেছনে ফুটওভার ব্রিজ ভাঙাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত, যা নেভানো যায়নি বলে অভিযোগ তাদের। আমরা আপাতত ফুটওভার ব্রিজ না ভাঙার দাবি জানিয়েছিলাম। অন্তত রোজার মাস বন্ধের দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

কথা হয় ওবায়দুল্লাহ রনি নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তার পাঁচটি দোকান ছিল, যেখানে এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। তিনি বলেন, গত রমজানে ব্রিজ ভাঙার কথা বলা হলেও আমরা রমজানে ভাঙতে না বললে সিটি করপোরেশন রাজি হয়। ঈদের আর মাত্র ৭ দিন বাকি, এ সময় কেন ভাঙতে হবে! রোজার পরে ভাঙলেই হতো।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে আমরা নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার কাজ চলাকালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।