রহমান-সায়রা এক হচ্ছেন, আইনজীবীর আশার বাণী
- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পঠিত
বাংলাদেশ কন্ঠ ।।
উপমহাদেশের খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ এ আর রহমান ও সায়রা বানুর সংসার ভাঙনের কথা ১৯ নভেম্বর ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার অনুরাগীদের মনে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। ডিভোর্সের পাশাপাশি এ আর রহমানের পরকীয়ার গুঞ্জনও ছড়িয়ে পরে। শুধু তাই নয়, সম্পত্তির ভাগাভাগি, সন্তানদের দায়িত্ব কে নেবেন- এসব বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনাও শোনা গেছে। রহমান-সায়রার জন্য বিচ্ছেদের কথা জেনে বা আবার দুঃখ প্রকাশ করে তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন যেন, দাম্পত্য যেন মিটে যায়। তবে এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন আইনজীবী বন্দনা শাহ। ভারতের ডিভোর্স আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বন্দনা। তিনিই রহমান এবং সায়রার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি দেখছেন। কয়েকদিন আগে ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে রহমানের ডিভোর্স নিয়ে কথা বলেন এ আইনজীবী। এ সময় সায়রা-রহমানের পুনর্মিলনের আশার বাণী শোনান বন্দনা!
বন্দনা শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি তো কখনো বলিনি তাদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি। সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার। যেখানে তাদের কষ্ট এবং বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য তাদের, তাই অনেক চিন্তা-ভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। কিন্তু আমি তো এরমাঝে কখনো বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়’। এ আর রহমান সন্তানদের দায়িত্ব কে নেবেন- এ প্রসঙ্গেও বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছে। এমন কৌতূহলের মাঝেই আইনজীবী বন্দনা শাহ জানালেন, ‘সায়রা এবং রহমান কেউ এখনো সেটা ঠিক করেননি। সন্তানরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মা না বাবার কাছে থাকবে’। এর আগে খোরপোশ সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন বন্দনা।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোশ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরণের কোনো আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য’। বন্দনা শাহ আরও জানান, ‘ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এ আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্ন তোলা অবান্তর‘।