ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ঈদে শাওমি নিয়ে এলো রেডমি নোট ১৪ প্রো ও রেডমি এ৫ Logo শুরু হচ্ছে আইপিএলের নতুন সিজন, ম্যাচ দেখা যাবে টফিতে Logo আইটেল পাওয়ার ৭০ : দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির শক্তি ও সাশ্রয়ী দামে সেরা পারফরম্যান্স Logo ঈদে ভিভো ভি৫০ ফাইভজি: ট্রেন্ডসেটিং ক্যামেরা ও পারফরম্যান্স Logo প্রতিহিংসা ভুলে গিয়ে বাবার আদর্শকে লালন করে উন্নত পিরোজপুর গড়তে চাই Logo ঈদ উপলক্ষে টেকনো নিয়ে এলো দারুণ সব অফার Logo অনার বাংলাদেশে নিয়ে এল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী স্মার্টফোন – অনার এক্স৯সি Logo যে ৩টি কারণে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো+ এখনও চাহিদার শীর্ষে Logo অপো এ৫ প্রো’-এর বিক্রিতে রেকর্ডর Logo অসচ্ছল ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন মাওলানা আলহাজ্ব মো; সিফাতউল্লাহ

রমজানের রোজা নবিজি (সা.) কতবার রেখেছিলেন?

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ ২০৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে পবিত্র রমজানের রোজা ফরজ। রোজা ফরজ হওয়ার পর থেকেই পালন করা হয়েছে। কিন্তু রোজা ফরজ হওয়ার পর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে কতবার রোজা রেখেছিলেন?

দ্বিতীয় হিজরী শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ হয়। তারপর থেকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসের ফরজ রোজা পালন করতেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৯ বার রমজানের ফরজ রোজা রেখেছিলেন ।

ইমাম নবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কারণ এটি দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। এবং মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেছেন রবিউল আউয়াল মাসে, ১১ হিজরি।’ (আল-মাজমুআ ৬/২৫০)

রমজানের আগে মুসলমানরা রোজা রাখে-
বিভিন্ন বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে যে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে মুসলমানরা প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। তবে অধিকাংশ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরে নফল হয়ে যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আসেন, তখন তিনি ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখতে দেখেন। তাদেরকে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, এই দিনে আল্লাহ মুসা (আঃ) ও বনী ইসরাইলকে ফেরাউনের উপর বিজয় দান করেছিলেন। তাই আমরা সেদিনের সম্মানে রোজা রাখি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমরা তোমাদের চেয়ে মুসা আলাইহিস সালামের অধিক নিকটবর্তী। অতঃপর তিনি (আশুরার) সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন’। (বুখারি ৩৯৪৩)

প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে বিজ রোজা রাখার নিয়ম সবসময়ই মুস্তাহাব ছিল। হাদিসেও বিজের রোজার বিশেষ তাগিদ রয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমার বন্ধু রাসূল (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন। মৃত্যু পর্যন্ত আমি তা ত্যাগ করব না। তা হলো- ১. প্রতি মাসে তিন দিন (আইয়ামে বিজ) রোজা রাখা, চাশতের নামায পড়া এবং বিতরের নামায পড়ে বিছানায় যাওয়া।’ (বুখারী ১১৭৮)

রমজানের রোজা নবিজি (সা.) কতবার রেখেছিলেন?

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে পবিত্র রমজানের রোজা ফরজ। রোজা ফরজ হওয়ার পর থেকেই পালন করা হয়েছে। কিন্তু রোজা ফরজ হওয়ার পর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে কতবার রোজা রেখেছিলেন?

দ্বিতীয় হিজরী শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ হয়। তারপর থেকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসের ফরজ রোজা পালন করতেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৯ বার রমজানের ফরজ রোজা রেখেছিলেন ।

ইমাম নবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কারণ এটি দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। এবং মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেছেন রবিউল আউয়াল মাসে, ১১ হিজরি।’ (আল-মাজমুআ ৬/২৫০)

রমজানের আগে মুসলমানরা রোজা রাখে-
বিভিন্ন বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে যে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে মুসলমানরা প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। তবে অধিকাংশ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরে নফল হয়ে যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আসেন, তখন তিনি ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখতে দেখেন। তাদেরকে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, এই দিনে আল্লাহ মুসা (আঃ) ও বনী ইসরাইলকে ফেরাউনের উপর বিজয় দান করেছিলেন। তাই আমরা সেদিনের সম্মানে রোজা রাখি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমরা তোমাদের চেয়ে মুসা আলাইহিস সালামের অধিক নিকটবর্তী। অতঃপর তিনি (আশুরার) সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন’। (বুখারি ৩৯৪৩)

প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে বিজ রোজা রাখার নিয়ম সবসময়ই মুস্তাহাব ছিল। হাদিসেও বিজের রোজার বিশেষ তাগিদ রয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমার বন্ধু রাসূল (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন। মৃত্যু পর্যন্ত আমি তা ত্যাগ করব না। তা হলো- ১. প্রতি মাসে তিন দিন (আইয়ামে বিজ) রোজা রাখা, চাশতের নামায পড়া এবং বিতরের নামায পড়ে বিছানায় যাওয়া।’ (বুখারী ১১৭৮)