ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেসি নাকি হালান্ড-কে জিতবে এবারের ব্যালন ডি’অর?

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৭২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
অবশেষে আজ রাতে প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। রাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হলেও ফুটবল ভক্তদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্র হবে পুরুষদের তালিকা। সেই তালিকায় সবচেয়ে বেশি নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিওনেল মেসি এবং আর্লিং হ্যাল্যান্ডের।

বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ফ্রান্সে শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘোষণা করা হবে কাক্সিক্ষত নাম। মনোনীত খেলোয়াড় ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাবেক ও বর্তমান তারকা খেলোয়াড়রা। সংক্ষিপ্ত তালিকায় ৩০ জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর এই ত্রিশজন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়। যার নেতৃত্বে আছেন লিওনেল মেসি।

ব্যালন ডি’অর আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির কাছে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তার ক্যারিয়ারে ৭ বার এই পুরস্কার জিতেছেন। এখন অপেক্ষা অষ্টম ট্রফির।

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে মেসি দুই হাতে তার প্রাপ্য পাচ্ছেন। একের পর এক ক্লাব ফুটবল শিরোপা জিতলেও জাতীয় দলের জন্য দরজা খুলছিলেন না এই ফুটবল জাদুকর। বারবার দরজায় ধাক্কা দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।

মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব হোক আর বৈশ্বিক হোক- সব জায়গায় একই অবস্থা। শিরোপার নাগালই পাচ্ছিলেন না মেসি। বারবার রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল। একাধিকবার মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হয়েছেন। বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় হয়ে থাকতে হয়েছে।

অবশেষে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে ২০২১ সালের কোপা জিতেছে। এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ দেখল। ২০২২ সালে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা কনমেবল-উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স জয় করে। মূলত বিশ্বকাপ জয় মেসিকে ব্যালন ডি’অর জয়ের পথে রকেট গতিতে এগিয়ে দেয়।

অন্যদিকে নরওয়ের আরলিং হালান্ড জাতীয় দলের হয়ে কোনো সাফল্য না পেলেও ক্লাব ফুটবলে ছিলেন অনন্য। একের পর এক ট্রফি জিতেছেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ৫৩টি গোল করেছেন। ম্যানসিটির হয়ে প্রায় সব খেলোয়াড়ই ট্রেবল জয় করেছেন তবে গোল সংখ্যাই হালান্ডকে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

হালান্ড যদি ব্যালন ডি’অর জয় করেন তাহলেও ২০০৮ সালের পর এই প্রথম সম্মানজনক এই পুরস্কারটি আবার প্রিমিয়ার লিগের কোনো খেলোয়াড়ের হাতে দেখা যাবে। ২০০৮ সালে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন।

মেসি নাকি হালান্ড-কে জিতবে এবারের ব্যালন ডি’অর?

আপডেট সময় : ০৪:০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:
অবশেষে আজ রাতে প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। রাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হলেও ফুটবল ভক্তদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্র হবে পুরুষদের তালিকা। সেই তালিকায় সবচেয়ে বেশি নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিওনেল মেসি এবং আর্লিং হ্যাল্যান্ডের।

বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ফ্রান্সে শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘোষণা করা হবে কাক্সিক্ষত নাম। মনোনীত খেলোয়াড় ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাবেক ও বর্তমান তারকা খেলোয়াড়রা। সংক্ষিপ্ত তালিকায় ৩০ জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর এই ত্রিশজন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়। যার নেতৃত্বে আছেন লিওনেল মেসি।

ব্যালন ডি’অর আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির কাছে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তার ক্যারিয়ারে ৭ বার এই পুরস্কার জিতেছেন। এখন অপেক্ষা অষ্টম ট্রফির।

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে মেসি দুই হাতে তার প্রাপ্য পাচ্ছেন। একের পর এক ক্লাব ফুটবল শিরোপা জিতলেও জাতীয় দলের জন্য দরজা খুলছিলেন না এই ফুটবল জাদুকর। বারবার দরজায় ধাক্কা দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।

মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব হোক আর বৈশ্বিক হোক- সব জায়গায় একই অবস্থা। শিরোপার নাগালই পাচ্ছিলেন না মেসি। বারবার রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল। একাধিকবার মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হয়েছেন। বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় হয়ে থাকতে হয়েছে।

অবশেষে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে ২০২১ সালের কোপা জিতেছে। এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ দেখল। ২০২২ সালে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা কনমেবল-উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স জয় করে। মূলত বিশ্বকাপ জয় মেসিকে ব্যালন ডি’অর জয়ের পথে রকেট গতিতে এগিয়ে দেয়।

অন্যদিকে নরওয়ের আরলিং হালান্ড জাতীয় দলের হয়ে কোনো সাফল্য না পেলেও ক্লাব ফুটবলে ছিলেন অনন্য। একের পর এক ট্রফি জিতেছেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ৫৩টি গোল করেছেন। ম্যানসিটির হয়ে প্রায় সব খেলোয়াড়ই ট্রেবল জয় করেছেন তবে গোল সংখ্যাই হালান্ডকে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

হালান্ড যদি ব্যালন ডি’অর জয় করেন তাহলেও ২০০৮ সালের পর এই প্রথম সম্মানজনক এই পুরস্কারটি আবার প্রিমিয়ার লিগের কোনো খেলোয়াড়ের হাতে দেখা যাবে। ২০০৮ সালে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন।