মাধবপুরে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে শিসা তৈরী, হচ্ছে পরিবেশ দূষণ
- আপডেট সময় : ০৫:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ৯০ বার পঠিত

হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রায় ১ কিলোমিটার দুর থেকে নাকে ঝাঁজালো গন্ধ আসছে। পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে কৃষি জমির কাছে শিসা তৈরির কারনে এসব গন্ধ তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন অবৈধ শিসা তৈরির কারখানা বন্ধ করার জন্য প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে শিসা তৈরির অবৈধ কারখানা এখনো বন্ধ হয়নি। ভুক্তভোগীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ছাতিয়াইন সড়কের সাকুচাইল গ্রামের পাশে গড়ে উঠেছে এ শিসা তৈরির কারখানা।
সাকুচাইল গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য ফাতেমাতুজ্জোহরা রিনা জানান, বছর খানেক আগে জাবেদ মিয়া নামে এক লোক কৃষি জমির কাছে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে শিসা তৈরির কারখানা গড়ে তুলে। দিনের বেলা পুরাতন ব্যাটারি সংগ্রহ করে সারারাত পুড়িয়ে শিসা বের করা হয়। এসিড ও পুরাতন ব্যাটারি পুড়ার কারনে ঝাঁজালো গন্ধে এলাকায় থাকা কষ্ট হচ্ছে। ব্যাটারি থেকে নির্গত ধোঁয়া ও রাসায়নিক পদার্থে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে এর পাশে শত শত বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমি রয়েছে। এখন এ কারখানাটি কৃষকদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। স্থানীয় লোকজন এটি বন্ধ করতে চেয়ারম্যান ও উপজেলাকে প্রশাসনকে জানিয়েছে। তবে এখনো এটি বন্ধ করা হয়নি।
কারখানায় কাজ করা জমির আলী নামে একজন শ্রমিক জানান, কারখানার অনুমোদন আছে কিনা তাদের জানা নেই। তারা রাতে ব্যাটারি ভাঙ্গে আর রাতে তা গলিয়ে শিসা বের করে।
ইউপি সদস্য আবুল খায়ের জানান, অবৈধভাবে শিসা তৈরির কথা শুনে চেয়ারম্যান অফিসে জানানো হয়েছে। এ কারখানার কারণে সবার ক্ষতি হচ্ছে। এটি দ্রুত বন্ধ করা উচিত।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, কৃষির কাছে শিসা তৈরির কারখানার কারণে কৃষি জমির নষ্ট হবে। ফসলের উৎপাদন অনেক কমে যাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ব্যাটারি গলিয়ে শিসা তৈরির কারণে ওই এলাকার প্রাণ প্রকৃতি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এটি বন্ধ করা উচিত।
কারখানার মালিক জাবেদ মিয়া বলেন, এখানে ব্যাটারি সংগ্রহ হয়। কোন শিসা তৈরি হয় না।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঞ্জুর আহ্সান জানান, সরজমিনে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
















