ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপো’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ৩এক্স হ্যান্ডসেটের উপর অফারের ঘোষণা মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান Logo গতিতে নাকাল পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৭ Logo রাজশাহীতে শুটিং হওয়া ফারুকীর ‌‘৮৪০’ আসছে Logo শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট Logo বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে Logo ভয়মুক্ত সম্প্রীতিময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা Logo বর্ষপূর্তিতে স্মার্টফোন কিনলে উপহার ও ছাড় দেবে ভিভো Logo যুব বিশ্বকাপ ২০২৫ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দলকে বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা Logo এবার শুটিং সেটে সালমানকে হত্যার হুমকি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে শাস্তি পেলেন দুই ক্যারিবিয়ান

ভারতীয় মিডিয়ার আচরণ স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পঠিত

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে সেটি দুই দেশে মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, এটি আমি শুরু থেকেই বলে আসছি যে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যেভাবে প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছে, সেটি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয়।

এ সময় তিনি দেশীয় গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, তিনি মনে করেন, দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি কাজ হওয়া উচিত, ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার তুলে আনা। তাদের এই বিষয়গুলো শক্তভাবে উপস্থাপন করা দরকার। এ সময় সীমান্ত হত্যা নিয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি অনেক দেশ ঘুরেছি। সব দেশেই অপরাধী আছে কিন্তু আপনি সীমান্তে গুলি করে মেরে ফেলতে পারেন না। ভারতের উচিত, সীমান্তে অপরাধীকে ধরা এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া ও প্রচলিত আইনে বিচার করা।জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐক্য না থাকার কারণে আমরা পিছিয়েছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্য দরকার।

প্রতিবেশী বা শক্তিশালী দেশগুলোর প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রভাব বিস্তার থাকবেই। এসব মোকাবিলার জন্য আমাদের ঘর গোছাতে হবে, যাতে কেউ অযাচিত প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।বাংলাদশে কারও জন্য থ্রেট নয় দাবি করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আবার আমরা কাউকে আমাদের জন্য থ্রেট হতে দিতে পারি না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ানো।’

ট্যাগস :

ভারতীয় মিডিয়ার আচরণ স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে সেটি দুই দেশে মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, এটি আমি শুরু থেকেই বলে আসছি যে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যেভাবে প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছে, সেটি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয়।

এ সময় তিনি দেশীয় গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, তিনি মনে করেন, দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি কাজ হওয়া উচিত, ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার তুলে আনা। তাদের এই বিষয়গুলো শক্তভাবে উপস্থাপন করা দরকার। এ সময় সীমান্ত হত্যা নিয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি অনেক দেশ ঘুরেছি। সব দেশেই অপরাধী আছে কিন্তু আপনি সীমান্তে গুলি করে মেরে ফেলতে পারেন না। ভারতের উচিত, সীমান্তে অপরাধীকে ধরা এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া ও প্রচলিত আইনে বিচার করা।জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐক্য না থাকার কারণে আমরা পিছিয়েছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্য দরকার।

প্রতিবেশী বা শক্তিশালী দেশগুলোর প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রভাব বিস্তার থাকবেই। এসব মোকাবিলার জন্য আমাদের ঘর গোছাতে হবে, যাতে কেউ অযাচিত প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।বাংলাদশে কারও জন্য থ্রেট নয় দাবি করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আবার আমরা কাউকে আমাদের জন্য থ্রেট হতে দিতে পারি না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ানো।’