ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মায়ের হাতে শিশু খুন

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ ৩৩ বার পঠিত

মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তাহমিনা আক্তার (২৬) নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে তার দুই মাস বয়সী শিশু সন্তান সাইমকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সকালে তাহমিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে। শিশু সাইম উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মো.খোকন মিয়ার ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর পূর্বে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে ৪ টি সন্তান আসে। সর্বশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেওয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাবারের আয়োজন করে খোকন মিয়া। কিন্তু তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকনজনকে দাওয়াত দেয় খোকন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হয়। পরের দিন রাগ করে বাবার বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে চলে আসে তাহমিনা ।সেখানে এসে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করে তাহমিনা। এর পর ১২ তারিখ রাত ১১টার দিকে শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকে খোকন এসে তার শিশু সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ওই দিন রাতে খোকন গোকর্ণ গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করছিল। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে একটি লাশ দেখতে পায়। তখন পুলিশ এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ। নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা আক্তার তার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী খোকন মিয়া স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মায়ের হাতে শিশু খুন

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তাহমিনা আক্তার (২৬) নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে তার দুই মাস বয়সী শিশু সন্তান সাইমকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সকালে তাহমিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে। শিশু সাইম উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মো.খোকন মিয়ার ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর পূর্বে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে ৪ টি সন্তান আসে। সর্বশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেওয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাবারের আয়োজন করে খোকন মিয়া। কিন্তু তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকনজনকে দাওয়াত দেয় খোকন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হয়। পরের দিন রাগ করে বাবার বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে চলে আসে তাহমিনা ।সেখানে এসে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করে তাহমিনা। এর পর ১২ তারিখ রাত ১১টার দিকে শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকে খোকন এসে তার শিশু সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ওই দিন রাতে খোকন গোকর্ণ গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করছিল। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে একটি লাশ দেখতে পায়। তখন পুলিশ এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ। নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা আক্তার তার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী খোকন মিয়া স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।