ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যারিস্টার রাজ্জাক সংযম ও দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারতেন : তারেক রহমান

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ৩২ বার পঠিত

বাংলাদেশ কণ্ঠ ।।

বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার-পরিজন ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সংযম ও দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারতেন। তারেক রহমান তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলেন, ‘আমি তাঁর (ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক) রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক গতকাল রোববার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের প্রথম নামাজে রোববার বাদ এশা রাত সাড়ে ৮টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী। জানাজার নামাজে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আজ বেলা ১১টায় তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা মরহুমের বড় সন্তান ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকীর ইমামতিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা এ টি এম মাসুমের ইমামতিতে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি একজন আইনজীবী। আমি কোর্ট রুম ব্যারিস্টার। আমি আইনের অঙ্গনে আমার অবদান রাখার চেষ্টা করব। আইনের শাসন একটি অতি বড় জিনিস। দেশে যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে আমাদের রাজনীতি সফল হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। সুতরাং আইন অঙ্গনে আমার বিচরণ, আইন অঙ্গনে আমি থাকব। আইন অঙ্গনের মাধ্যমে আমি দেশ ও জাতির খেদমত করার চেষ্টা করব।’ তার জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৯ সালে। তার স্থায়ী বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখ লাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র এডভোকেট হন।  তিনি আইন পেশায় দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার মৃত্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ আইন অঙ্গনে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। অত্যন্ত বিনয়ী ও মিষ্টভাষী হিসেবে তিনি সকলের কাছে প্রিয় ছিলেন।

ট্যাগস :

ব্যারিস্টার রাজ্জাক সংযম ও দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারতেন : তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশ কণ্ঠ ।।

বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার-পরিজন ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সংযম ও দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারতেন। তারেক রহমান তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলেন, ‘আমি তাঁর (ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক) রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক গতকাল রোববার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের প্রথম নামাজে রোববার বাদ এশা রাত সাড়ে ৮টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী। জানাজার নামাজে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আজ বেলা ১১টায় তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা মরহুমের বড় সন্তান ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকীর ইমামতিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা এ টি এম মাসুমের ইমামতিতে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি একজন আইনজীবী। আমি কোর্ট রুম ব্যারিস্টার। আমি আইনের অঙ্গনে আমার অবদান রাখার চেষ্টা করব। আইনের শাসন একটি অতি বড় জিনিস। দেশে যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে আমাদের রাজনীতি সফল হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। সুতরাং আইন অঙ্গনে আমার বিচরণ, আইন অঙ্গনে আমি থাকব। আইন অঙ্গনের মাধ্যমে আমি দেশ ও জাতির খেদমত করার চেষ্টা করব।’ তার জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৯ সালে। তার স্থায়ী বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখ লাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র এডভোকেট হন।  তিনি আইন পেশায় দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার মৃত্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ আইন অঙ্গনে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। অত্যন্ত বিনয়ী ও মিষ্টভাষী হিসেবে তিনি সকলের কাছে প্রিয় ছিলেন।