ব্যয় ৫১৯ কোটি টাকা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য তেল-ডাল-চিনি কিনছে সরকার
- আপডেট সময় : ০৩:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পঠিত
বাংলাদেশ কন্ঠ ।।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৫১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল, ২৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়ে চিনি এবং ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা দিয়ে মসুর ডাল কেনা হবে।
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এই সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বুধবার (২৭) নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড থেকে এই তেল কেনা হবে ৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১৬৬ টাকা।
টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে এই ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশের ভিত্তিতে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে এই সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২৫ সালে পবিত্র রমজান মাসে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিনি কেনার দুটি পৃথক প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। দুটি প্রস্তবেই অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মেঘানা সুগার রিফাইনারি লিমেটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১১৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমেটেড থেকে এই চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিনি কেনার আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমেটেড থেকে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই চিনি কিনতে ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই ১০ হাজার মেট্রিক চিনি কিনতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে এই চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই চিনিও ২০২৫ সালে পবিত্র রমজান মাস বিক্রি করা হবে।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে এই মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের মূল্য ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা।
সূত্রটি জানিয়েছে, টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ৪টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সভায় নির্ধারিত এজেন্ডার বাহিরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সেই প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে। নাবিল নবা ফুডস থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে ৯৭ টাকা ২২ পয়সা কেজি দরে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।