বেহাল জবির ড্রেনেজ ব্যবস্থা, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
![](https://www.bangladeshkantha.com/wp-content/uploads/2024/05/images-3.jpeg)
- আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩ ৭৯ বার পঠিত
![](https://www.bangladeshkantha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনগুলোর বেহাল অবস্থা বিরাজমান। এসব ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা পানি, আবর্জনা জমে বদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ড্রেনে আটকে থাকা ময়লার গন্ধে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অধিকাংশে ড্রেনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরজমিনে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ড্রেনের উপর ঢাকনা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের ড্রেনগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে এডিস মশা জন্মানোর উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এসব ড্রেনে সবসময়ই জলাবদ্ধতা লেগে থাকে এবং কয়েকটি স্থানে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ দেখা যায়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পাশের ড্রেনের উপর ঢাকনা না থাকার কারণে সেখান থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার ফলে ক্যাফেটেরিয়ার পাশে অবস্থিত শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় ভোগান্তি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রতিদিন ক্লাস করবার জন্য এখান দিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়, আবার খাবার খাওয়ার জন্য ক্যাফেটেরিয়াতে আসতে হয়, ড্রেনের ঢাকনা না থাকার কারণে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পানি থেকে দুর্গন্ধ আসে। এ ধরনের আবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশা উৎপন্ন হতে পারে। যা আমাদের ডেঙ্গু ঝুঁকিতে ফেলবে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মেয়েদের নামাজের স্থানের পাশে খাবার পানির ফিল্টার অনেক দিন যাবৎ ঠিক মতো কাজ করে না এবং ওয়াশরুমের ট্যাবগুলোর বেহাল দশা তা থেকে পানি ঠিক মতো বের হয় না। এছাড়া রাত ৮ টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ হয়ে যায় যার ফলে মেয়েদের পানি নিতে হয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে। ফিল্টারের স্বল্পতার কারণে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ইসলামিক স্ট্যাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, মেয়েদের মসজিদের বাথরুমের ট্যাব থেকে পানি অনেক কম আসে। যার ফলে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। অনেকে ওজুর স্থান থেকে পানি নিয়ে ব্যবহার করে। আর মসজিদে দুটি ফিল্টার থাকলেও একটি নষ্ট। যার ফলে পানি নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জারা নূর বলেন, মেয়েদের মসজিদে ফিল্টার সমস্যা থাকায় তাদের পানির জন্য ছেলেদের অজুখানায় এসে পানি নিতে হয়। মেয়েদের মসজিদে একটি ফিল্টার স্থাপন করে পানির ভোগান্তি দূর করা হোক। শুধুমাত্র ড্রেনগুলোর চিত্রই এমন নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনের কোল ঘেঁষে স্তূপ হয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। ছাত্রীদের কমনরুমের পেছনে দেখা গেছে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ আর যেখানে প্রতিনিয়ত জন্মাচ্ছে এডিস মশা। এছাড়াও ভাষা সৈনিক রফিক ভবনের পাশে, প্রশাসনিক ভবনের আশেপাশে, বিজ্ঞান অনুষদের আশেপাশের ড্রেনসহ প্রত্যেকটি ড্রেনে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ড্রেনগুলো যেনো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় সে ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাবো। এছাড়া পানির কল লাগানোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।