বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮.৫০%, পাইকারি পর্যায়ে ৫.০৭৪% বাড়ছে

- আপডেট সময় : ০৫:১৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮.৫০ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ৫.০৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দাম বৃদ্ধির গেজেট জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের ভর্তুকিতে ডলারের পার্থক্যই মূল বিষয়। গ্যাসের দামও বাড়ছে। এবার বিদ্যুৎ ভর্তুকি দাঁড়াবে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সেজন্য দাম সমন্বয় করার কথা বলেছে সরকার। এটি জ্বালানির দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। আমরা কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে দাম সামঞ্জস্য করব।
তিনি বলেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নিচের দিকে ৩৪ পয়সা, ওপরে বাড়বে ৭০ পয়সা। অর্থাৎ নিচের দিকে বাড়বে ৫ শতাংশ। ওপরের দিকে সাড়ে ৮ শতাংশের মতো। মাসের শেষে হয়তো ১০০ টাকায় ৫ থেকে ৮ টাকা বাড়তে পারে।
‘আমাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রায় ১২ টাকা, ডলারের দামের তারতম্যের কারণে। ৭ থেকে ৮ টাকা ছিল এটা। আমরা গড়ে প্রতি ইউনিট বিক্রি করছি ৭ টাকায়। সমন্বয়টা উপরের দিকে বেশি করছি, নিচের দিকে কম করছি।
বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কারণে প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের কথায় মনে হচ্ছে অত বেশি পরিবর্তন ঘটবে না। খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, গতিশীল মূল্যে তেলের দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকে। আর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করেছি বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে দামে গ্যাস নিতো, সেখানে আমরা ৭০ পয়সার মতো সমন্বয় করেছি। আর তেলের দামও ডায়নামিক প্রাইসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা, তেল-গ্যাসসহ জ্বালানির দামে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত বছরে এটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এ কারণেই আমি জ্বালানির দাম ডলারের সাথে সারিবদ্ধ করার কথা ভাবছিলাম। জ্বালানির জন্য গতিশীল মূল্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যা শুরু হবে ১লা মার্চ থেকে। কাল-পরশুর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।