ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির যেকোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:২১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ ১৩৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়, বিএনপির যেকোনো কৌশল সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

সভাপতির ভাষণে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা রাজনৈতিক ঝড় তুলে শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের কথা বলছে, বাস্তবতা হচ্ছে তারা কোনো আন্দোলন ও ঝড় সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়, তাই তারা চিৎকার করে তাদের অক্ষমতা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিদেশি দূতাবাসে অভিযোগ করা- এটাই বিএনপির প্রবণতা। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে- এমন অস্পষ্ট ধারণা বিএনপির।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সে কারণে দেশে শান্তির পরিবেশ বিরাজ করুক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না- এটাই তাদের ইচ্ছা। কিন্তু নির্বাচন করতে দেবে না, সংকল্প পরিবর্তন করে বাঁধা দেবে। এমন হুমকিদাতাদের আমরাও দেখে নিবো কারা রুখে দেয়। সাধারণ মানুষকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ আজ দুই ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক ধারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাষ্ট্রীয় মেরামত কর্মসূচিতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়নি। আজ তাদের নেতাকর্মীরা বুঝতে পেরেছে যে মুখের কথা আসলে ভন্ডামি। তারা নিজেরাই আন্দোলনের পথ থেকে সরে এসেছেন। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেট পড়ছে। মনে হচ্ছে এখন ১৪/১৫ টি দল আছে। তাদের কোনো নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন- দুঃস্বপ্ন। কি কর্মসূচি দিবে তা ভেবে তারা দিশেহারা। সতর্ক আছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবেন। তারা যতই হুমকি দিক না কেন, আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অটল আছি। ২০১৩/২০১৪ এর মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কৌশল নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। তবে আমরা সতর্ক। বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।

জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা করার প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দল বা সরকার কেউই মামলা করেনি। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি একটি মামলা করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পর্যবেক্ষণ ও খোঁজখবর নিচ্ছেন। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাংগঠনিক নেতাদের করণীয় সম্পর্কেও জানিয়েছে দলটি। সরকার আগেই মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। আশ্চর্যজনক গতিতে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির যেকোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০২:২১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়, বিএনপির যেকোনো কৌশল সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

সভাপতির ভাষণে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা রাজনৈতিক ঝড় তুলে শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের কথা বলছে, বাস্তবতা হচ্ছে তারা কোনো আন্দোলন ও ঝড় সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়, তাই তারা চিৎকার করে তাদের অক্ষমতা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিদেশি দূতাবাসে অভিযোগ করা- এটাই বিএনপির প্রবণতা। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে- এমন অস্পষ্ট ধারণা বিএনপির।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সে কারণে দেশে শান্তির পরিবেশ বিরাজ করুক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না- এটাই তাদের ইচ্ছা। কিন্তু নির্বাচন করতে দেবে না, সংকল্প পরিবর্তন করে বাঁধা দেবে। এমন হুমকিদাতাদের আমরাও দেখে নিবো কারা রুখে দেয়। সাধারণ মানুষকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ আজ দুই ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক ধারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাষ্ট্রীয় মেরামত কর্মসূচিতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়নি। আজ তাদের নেতাকর্মীরা বুঝতে পেরেছে যে মুখের কথা আসলে ভন্ডামি। তারা নিজেরাই আন্দোলনের পথ থেকে সরে এসেছেন। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেট পড়ছে। মনে হচ্ছে এখন ১৪/১৫ টি দল আছে। তাদের কোনো নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন- দুঃস্বপ্ন। কি কর্মসূচি দিবে তা ভেবে তারা দিশেহারা। সতর্ক আছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবেন। তারা যতই হুমকি দিক না কেন, আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অটল আছি। ২০১৩/২০১৪ এর মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কৌশল নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। তবে আমরা সতর্ক। বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।

জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা করার প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দল বা সরকার কেউই মামলা করেনি। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি একটি মামলা করেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পর্যবেক্ষণ ও খোঁজখবর নিচ্ছেন। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাংগঠনিক নেতাদের করণীয় সম্পর্কেও জানিয়েছে দলটি। সরকার আগেই মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। আশ্চর্যজনক গতিতে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।