বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ
- আপডেট সময় : ০৪:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩ ২০ বার পঠিত
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া চৌধুরী বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বাস্তবায়নে নিমার্ণাধীন ফুটওভার ব্রীজের একটি পিলারের কারণে একটি বসতবাড়ির রাস্তা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। চলাচলের বিকল্প রাস্তা না থাকায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
ভুক্তভোগী বাড়ির মালকি মো. পিয়াশ চৌধুরী জানান, তার সীমানা থেকে জমি ছেড়ে দোকান ঘর ও চলাচলের জন্য ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। বিআরটি তার সীমানার মধ্যে ফুটওভার ব্রীজটির পিলার নিমার্ণ করায় স্থায়ীভাবে তার চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় অনেকটা গৃহবন্ধী হয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনকি পিলার ঘেঁষে বাহির হতে গেলে পেঁটে-পিঠে আটকে যেতে হয়। ভুক্তভোগী আরো বলেন, এই বিষয়টি অবগত করতে বিআরটি’র বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. ইলিয়াশ শাহের বরাবর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্ষতিপূরণ বিকল্প রাস্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করলেও তারা কোন ধরণের ব্যবস্থা না নিয়েই নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোন প্রতিকার না পেয়ে বিগত ২২ মার্চ গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। জমির সীমানা নিশ্চিত হতে স্থানীয় সার্ভেয়ারের মাধ্যমে আরএস নকশা অনুযায়ী তার বসতবাড়ির জমি মেপে দেখা যায় ভোগড়া মৌজায় এসএ দাগ নং-৬৬৯ , আর এস দাগ নং- ৮৯৭, খতিয়ান: এস এ -১৫, আর এস-১৩৮ জমির সীমানা সঠিক রয়েছে এবং সড়কটি ১১০ ফুট প্রশস্ত আছে। বিআরটি বলছে সিএস নকশা অনুযায়ী সড়কটি ১১৫ রয়েছে। ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরন ও বিকল্প রাস্তা চেয়ে বিভিন্ন দফতরে গিয়ে কোন সুরাহা করতে পারছেননা বলে জানান।
এবিষয়ে বিআরটি’র বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টও মো. ইলিয়াশ শাহ্’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পিয়াস চৌধুরীর আবদেনটি তারা পেয়েছেন সড়কটি মেপে যদি পিলার পড়ে থাকে তাহলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাড়ির রাস্তাটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তাটি তাদের নিজ দায়িত্বে করে নিতে হবে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পিয়াস চৌধুরী জানান, তার পিতা সাহাজ উদ্দিন মালিক থাকা অবস্থায় এসএ দাগ নং-৬৬৯ , আর এস দাগ নং-৮৯৭, খতিয়ান: এস এ-১৫, আর এস- ১৩৮ হইতে ০১ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এল এ কেস নং-০৪/২০১৬-১৭, ২০১৯ সালের ১৫মে অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য বুঝিয়া পান। পরে নতুন সিমানা নির্ধারণ হওয়ার পর সিমানা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে যা আজও বিদ্যমান রয়েছে। এ বিষয়ে বাসন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি র্কমর্কতা সফিকুল ইসলাম জানান, পিয়াস চৌধুরী নামে এসএ দাগ নং-৬৬৯, আরএস দাগ নং-৮৯৭, খতিয়ান: এসএ -১৫, আর এস-১৩৮ , ৬৬৬৯ নং জোতে ১৭ শতাংশ জমি খারিজ রয়েছে। ২০১৬-১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহণে কোন তথ্য ও কোন গেজেট আসেনি বলে জানান।