বাংলাদেশ কণ্ঠ ।।
গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।গত সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪০টি স্থান পেয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৮টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তালিকার তুলনায় দাম কমার তালিকায় প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরপরও বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় বাজার মূলধনের বড় ধরনের পতন হয়নি। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৯৩ কোটি টাকায়। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা বা দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা বা দশমিক ১৪ শতাংশ। বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে মূল্যসূচক। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৫ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৫ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৩৭ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ।প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ।প্রধান ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক কমলেও বেড়েছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ১১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৪৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা দশমিক ৪৪ শতাংশ।সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফাইন ফুডসের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি।এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, খান ব্রাদার্স, পিপি ওভেন ব্যাগ, অগ্নি সিস্টেম, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, গ্রামীণফোন এবং রিলায়েন্স ওয়ান দ্য ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড।