ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অতিরিক্ত মাল বোঝাই, তিতাস নদীতে নৌকাডুবে নিহত ১ Logo নলছিটির তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর Logo ভিকিকে সিনেমার সেটে রাতভর বেঁধে রাখেন নির্মাতা Logo ফুটবল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি মার্সেলো Logo গাজাবাসীকে সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ Logo সয়াবিন তেলের সংকট আরও বাড়ছে, পাইকারিতে সামান্য কমছে চালের দাম Logo সারাদেশে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করবে সরকার Logo বিআইজেএফ নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত Logo সংসার ভাঙছে জাস্টিন-হেইলির

ফুটপাত হকারদের দখলে, চাঁদা নিচ্ছে প্রভাবশালীরা

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ৬১ বার পঠিত

এস.এম. নুরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের সড়ক ও ফুটপাতে দোকানে বসিয়ে ভাড়া নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। এ কারণে শহরমুখী সড়কের ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। শহরমুখী সড়কটি ফোর লেনে উন্নতি করা হলেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত নগরবাসীরা। সম্প্রতি সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে ফুটপাত মুক্ত করতে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের কিছু দিনের মধ্যেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতায় ফুটপাত দখল নেয় হকাররা।
জানা গেছে, যানজট নিরসনে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেউথা এবং শহরমুখী সড়ক ফোর লেনে উন্নতি করা হলেও সড়ক ও ফুটপাতে হকারদের দোকান বসানোর বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু স্বার্থনেশী প্রভাবশালীরা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এবং বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত এখন হকার ও স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজের আয়ের উৎস। ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে একেকজন হকাররা তাদের দোকান বসিয়েছে। আর একেকটি ভ্যান গাড়ি থেকে এককালীন ৫ হাজার এবং মাসে ২ হাজার পর্যন্ত সালামি নেয় প্রভাবশালীরা। একই সঙ্গে বাসস্ট্যান্ডের ফুটওভার ব্রীজের নিচে দোকান বসিয়ে নেয়া হচ্ছে ১০ হাজার আর মাসে ভাড়া বাবদ ৫ হাজার টাকা। ফুটপাত-সড়ক দখল করে দোকান বসিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডে রাজ হোটেলের সামনের ফুটপাত ও সড়ক হকারদের দখলে। পিটিআই স্কুলের গেটের সামনে থেকে শুরু করে উপজেলা গেইট পর্যন্ত ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ফুটপাত দখল। এবং শহরমুখী সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল গেইট পর্যন্ত সড়ক হকারদের দখলে রয়েছে। শহরমুখী এই সড়কে পাশে রয়েছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল আর হকারদের দোকানের কারণে সারাদিনই থাকে যানজট। সন্ধ্যা হলে যানজট আরো তীব্র আকার ধারন করে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীদের। সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ এসব দোকানে হরেক খাদ্যদ্রব্য ও পণ্য বেচাকেনা চলছে।
মোসলেম নামের এক পথচারী বলেন, সড়ক বড় হওয়ায় হকারদের সুবিধা হয়েছে। সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তি রয়েই গেছে। বাসস্ট্যান্ড থেকে হ্যালো বাইকে উঠলে হকারদের ভ্যান গাড়ির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে যেতে হয়। হেঁটে যাওয়ার তো কোন সুযোগই নেই।
নিলু নামের এক ডিমের দোকানদার বলেন, আমি ছোট একটা ভ্যান গাড়ি করে সিদ্ধ ডিম বিক্রি করতাম। নেতারা এককালীন ৫ হাজার আর মাসে ২ হাজার টাকা ভাড়া চেয়েছে। আমি ৩ হাজার দিতে চেয়েছিলাম। গাইবান্ধা আর ভীনদেশী লোক এসে নেতাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা করছে। আমরা মানিকগঞ্জের মানুষ আমাগো কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত ফুটপাতে অভিযান চালাচ্ছি। একদিক দিয়ে অভিযান করি, অন্য দিক দিয়ে হকাররা ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, সড়ক বা রাস্তা হকারদের জন্য নয়। সড়ক জনগণ চলাচলের জন্য। যদি কেউ সড়কে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনুনগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফুটপাত হকারদের দখলে, চাঁদা নিচ্ছে প্রভাবশালীরা

আপডেট সময় : ০৫:০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

এস.এম. নুরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের সড়ক ও ফুটপাতে দোকানে বসিয়ে ভাড়া নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। এ কারণে শহরমুখী সড়কের ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। শহরমুখী সড়কটি ফোর লেনে উন্নতি করা হলেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত নগরবাসীরা। সম্প্রতি সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে ফুটপাত মুক্ত করতে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের কিছু দিনের মধ্যেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতায় ফুটপাত দখল নেয় হকাররা।
জানা গেছে, যানজট নিরসনে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেউথা এবং শহরমুখী সড়ক ফোর লেনে উন্নতি করা হলেও সড়ক ও ফুটপাতে হকারদের দোকান বসানোর বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু স্বার্থনেশী প্রভাবশালীরা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এবং বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত এখন হকার ও স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজের আয়ের উৎস। ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে একেকজন হকাররা তাদের দোকান বসিয়েছে। আর একেকটি ভ্যান গাড়ি থেকে এককালীন ৫ হাজার এবং মাসে ২ হাজার পর্যন্ত সালামি নেয় প্রভাবশালীরা। একই সঙ্গে বাসস্ট্যান্ডের ফুটওভার ব্রীজের নিচে দোকান বসিয়ে নেয়া হচ্ছে ১০ হাজার আর মাসে ভাড়া বাবদ ৫ হাজার টাকা। ফুটপাত-সড়ক দখল করে দোকান বসিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডে রাজ হোটেলের সামনের ফুটপাত ও সড়ক হকারদের দখলে। পিটিআই স্কুলের গেটের সামনে থেকে শুরু করে উপজেলা গেইট পর্যন্ত ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ফুটপাত দখল। এবং শহরমুখী সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল গেইট পর্যন্ত সড়ক হকারদের দখলে রয়েছে। শহরমুখী এই সড়কে পাশে রয়েছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল আর হকারদের দোকানের কারণে সারাদিনই থাকে যানজট। সন্ধ্যা হলে যানজট আরো তীব্র আকার ধারন করে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীদের। সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ এসব দোকানে হরেক খাদ্যদ্রব্য ও পণ্য বেচাকেনা চলছে।
মোসলেম নামের এক পথচারী বলেন, সড়ক বড় হওয়ায় হকারদের সুবিধা হয়েছে। সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তি রয়েই গেছে। বাসস্ট্যান্ড থেকে হ্যালো বাইকে উঠলে হকারদের ভ্যান গাড়ির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে যেতে হয়। হেঁটে যাওয়ার তো কোন সুযোগই নেই।
নিলু নামের এক ডিমের দোকানদার বলেন, আমি ছোট একটা ভ্যান গাড়ি করে সিদ্ধ ডিম বিক্রি করতাম। নেতারা এককালীন ৫ হাজার আর মাসে ২ হাজার টাকা ভাড়া চেয়েছে। আমি ৩ হাজার দিতে চেয়েছিলাম। গাইবান্ধা আর ভীনদেশী লোক এসে নেতাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা করছে। আমরা মানিকগঞ্জের মানুষ আমাগো কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত ফুটপাতে অভিযান চালাচ্ছি। একদিক দিয়ে অভিযান করি, অন্য দিক দিয়ে হকাররা ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, সড়ক বা রাস্তা হকারদের জন্য নয়। সড়ক জনগণ চলাচলের জন্য। যদি কেউ সড়কে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনুনগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।