ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপো’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ৩এক্স হ্যান্ডসেটের উপর অফারের ঘোষণা মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান Logo গতিতে নাকাল পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৭ Logo রাজশাহীতে শুটিং হওয়া ফারুকীর ‌‘৮৪০’ আসছে Logo শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট Logo বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে Logo ভয়মুক্ত সম্প্রীতিময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা Logo বর্ষপূর্তিতে স্মার্টফোন কিনলে উপহার ও ছাড় দেবে ভিভো Logo যুব বিশ্বকাপ ২০২৫ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দলকে বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা Logo এবার শুটিং সেটে সালমানকে হত্যার হুমকি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে শাস্তি পেলেন দুই ক্যারিবিয়ান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খানের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ খান। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য বিচার ও জবাবদিহি নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রসিকিউটর করিম খান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তার অফিস মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছে করিম খান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি বিশেষ বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানকে সমর্থন করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে সম্মেলনটি আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সম্মেলন থেকে সংকটের টেকসই সমাধানের নতুন পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। সম্মেলনের স্থান, তারিখ ও কার্যপদ্ধতি ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে নির্ধারণ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সব অংশীদারকে একত্রে নিয়ে এসে সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং তাদের শিশুদের দুরবস্থার বিষয়ে।আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই সংকট বিস্ফোরিত না হয়, অধ্যাপক ইউনূস বলেন। শিবিরে বেড়ে ওঠা হতাশাগ্রস্ত যুবকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যা বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তা ও চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে। এই এলাকার নিরাপত্তা জাতিসংঘ নিশ্চিত করবে। যুদ্ধ থেমে গেলে এই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন সহজেই তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে, তিনি বলেন। আইসিসি প্রসিকিউটর বলেন, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক। এই ট্রাইব্যুনাল এরই মধ্যে শেখ হাসিনা এবং তার রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আইসিসি প্রতিষ্ঠার রোম স্ট্যাটিউটে সই করা প্রথম এশীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং আমরা আগামী দিনে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রত্যাশা করছি।

ট্যাগস :

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খানের সাক্ষাৎ

আপডেট সময় : ০২:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ খান। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য বিচার ও জবাবদিহি নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রসিকিউটর করিম খান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তার অফিস মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছে করিম খান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি বিশেষ বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানকে সমর্থন করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে সম্মেলনটি আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সম্মেলন থেকে সংকটের টেকসই সমাধানের নতুন পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। সম্মেলনের স্থান, তারিখ ও কার্যপদ্ধতি ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে নির্ধারণ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সব অংশীদারকে একত্রে নিয়ে এসে সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং তাদের শিশুদের দুরবস্থার বিষয়ে।আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই সংকট বিস্ফোরিত না হয়, অধ্যাপক ইউনূস বলেন। শিবিরে বেড়ে ওঠা হতাশাগ্রস্ত যুবকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যা বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তা ও চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে। এই এলাকার নিরাপত্তা জাতিসংঘ নিশ্চিত করবে। যুদ্ধ থেমে গেলে এই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন সহজেই তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে, তিনি বলেন। আইসিসি প্রসিকিউটর বলেন, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক। এই ট্রাইব্যুনাল এরই মধ্যে শেখ হাসিনা এবং তার রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আইসিসি প্রতিষ্ঠার রোম স্ট্যাটিউটে সই করা প্রথম এশীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং আমরা আগামী দিনে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রত্যাশা করছি।