প্রতি ১০ মিনিটে নিহত হচ্ছে একটি শিশু!
- আপডেট সময় : ০১:২৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২২১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সেখানে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের শিশু তহবিল সেভ দ্য চিলড্রেন-এর ফিলিস্তিনি আঞ্চলিক পরিচালক জেসন লি বলেছেন, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু নিহত হচ্ছে।
জেরুজালেম থেকে বিবিসির সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেছিলেন যে সেখানে আহত ২০,০০০ বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে তিনজনের একজনই শিশু।
তিনি আরও বলেন, জনাকীর্ণ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিধির অভাবে সেখানে সংক্রামক রোগ বাড়ছে। জেসন লি বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার মতে, গাজায় পাঠানো ত্রাণ সহায়তা সাগরের এক ফোঁটা পানির মতো। সেখানে আরও খাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানির প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার শিশু মারা যায় সংঘাতে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি বিশ্বের অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর আগে, সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে যে গত তিন সপ্তাহে গাজায় ২০১৯ সাল থেকে এক বছরে বিশ্বব্যাপী সংঘাতে যত শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে বেশি শিশু মারা গেছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (৩০ অক্টোবর) শিশু বিষয়ক এই এনজিও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় ৩,৩২৪ শিশু মারা গেছে। এছাড়া পশ্চিম তীরে আরও ৩৬ শিশু মারা গেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ২৪টি দেশে মোট ২,৯৮৫ শিশু মারা গেছে। ২০২১ সালে, এই সংখ্যা ছিল ২,৫১৫ এবং ২০২০ সালে, ২২টি দেশে ২,৬৭৪ শিশু মারা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতার পক্ষের সংগঠন হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর থেকে ইসরাইল গাজায় তাদের বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,৪০০ জন নিহত এবং ২২৯ জনকে জিম্মি করার দাবি করেছে।
একটি শিশুর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সেখানে প্রতিনিয়ত শত শত শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। গাজায় সংঘাতের মাশুল দিতে হচ্ছে তাদের। জেসন লি বলেছেন, একমাত্র যুদ্ধবিরতিই এসব শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।
এদিকে গাজায় এখনও প্রায় এক হাজার শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে এসব শিশু আটকা পড়ে থাকতে পারে। গাজায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
















