ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচন্ড মাথব্যাথাও হতে পারে স্ট্রোকের লক্ষণ!

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

স্ট্রোক শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই নয়, তরুণদের মধ্যেও হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোকের শিকার ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, জীবনের ঝুঁকি ততই কমবে।

স্ট্রোকের উপসর্গ বুঝবেন যেভাবে-

১. হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখা
২. কথা জড়িয়ে যাওয়া
৩. মুখ বেঁকে যাওয়া
৪. একদিক অবশ হয়ে যাওয়া
৫. একদিকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়া
৬. অসংলগ্ন কথা বলা
৭. তীব্র মাথাব্যথা ইত্যাদি।

গবেষণায় দেখা যায় যে তীব্র মাথাব্যথাও স্ট্রোকের একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ।

স্ট্রোক প্রধানত দুই প্রকার-

১. ইস্কেমিক
২. হেমারেজিক

ইস্কেমিক স্ট্রোকে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়। হেমোরেজিক স্ট্রোকের চেয়ে ইস্কেমিক স্ট্রোক অনেক বেশি সাধারণ। উভয় ধরনের স্ট্রোকে গুরুতর মাথাব্যথা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের উৎস ক্যারোটিড ধমনী থেকে শুরু হতে পারে। প্রিমিয়ার নিউরোলজি সেন্টার, ইউএস অনুসারে, স্ট্রোকের আগে ৬৫ শতাংশ রোগী গুরুতর মাথাব্যথা অনুভব করতে পারে।

‘ব্লকড ক্যারোটিড আর্টারি’ মাথার সামনের দিকে অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। আবার মস্তিষ্কের পেছনের দিকে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে মাথার পেছনে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।

তাই কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ব্যথা অনুভব করলে সাবধান হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোথায় রক্তবাহিকায় বাধা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে স্ট্রোকে মাথাব্যথার স্থান।

প্রচন্ড মাথব্যাথাও হতে পারে স্ট্রোকের লক্ষণ!

আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

স্ট্রোক শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই নয়, তরুণদের মধ্যেও হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোকের শিকার ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, জীবনের ঝুঁকি ততই কমবে।

স্ট্রোকের উপসর্গ বুঝবেন যেভাবে-

১. হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখা
২. কথা জড়িয়ে যাওয়া
৩. মুখ বেঁকে যাওয়া
৪. একদিক অবশ হয়ে যাওয়া
৫. একদিকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়া
৬. অসংলগ্ন কথা বলা
৭. তীব্র মাথাব্যথা ইত্যাদি।

গবেষণায় দেখা যায় যে তীব্র মাথাব্যথাও স্ট্রোকের একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ।

স্ট্রোক প্রধানত দুই প্রকার-

১. ইস্কেমিক
২. হেমারেজিক

ইস্কেমিক স্ট্রোকে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়। হেমোরেজিক স্ট্রোকের চেয়ে ইস্কেমিক স্ট্রোক অনেক বেশি সাধারণ। উভয় ধরনের স্ট্রোকে গুরুতর মাথাব্যথা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের উৎস ক্যারোটিড ধমনী থেকে শুরু হতে পারে। প্রিমিয়ার নিউরোলজি সেন্টার, ইউএস অনুসারে, স্ট্রোকের আগে ৬৫ শতাংশ রোগী গুরুতর মাথাব্যথা অনুভব করতে পারে।

‘ব্লকড ক্যারোটিড আর্টারি’ মাথার সামনের দিকে অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। আবার মস্তিষ্কের পেছনের দিকে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে মাথার পেছনে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।

তাই কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ব্যথা অনুভব করলে সাবধান হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোথায় রক্তবাহিকায় বাধা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে স্ট্রোকে মাথাব্যথার স্থান।