ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অতিরিক্ত মাল বোঝাই, তিতাস নদীতে নৌকাডুবে নিহত ১ Logo নলছিটির তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর Logo ভিকিকে সিনেমার সেটে রাতভর বেঁধে রাখেন নির্মাতা Logo ফুটবল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি মার্সেলো Logo গাজাবাসীকে সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ Logo সয়াবিন তেলের সংকট আরও বাড়ছে, পাইকারিতে সামান্য কমছে চালের দাম Logo সারাদেশে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করবে সরকার Logo বিআইজেএফ নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত Logo সংসার ভাঙছে জাস্টিন-হেইলির

পাইপ ফেটে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ৪৭ বার পঠিত

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ায় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে দৈনিক ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তিন ইউনিটবিশিষ্ট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে এক নম্বর ইউনিট চালু আছে, যা থেকে ৭৫-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন এলাকায় তিনটি ইউনিট নিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কারিগরি কারণে একটি ইউনিটকে পর্যায়ক্রমে ওভার হোলিং এ রেখে দুইটি ইউনিট চালু রাখা হয়। বর্তমানে এক ও তিন নম্বর ইউনিট চালু ছিল।
চালু থাকা দুটি ইউনিটের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃতীয় ইউনিটের স্টিম পাইপ ফেটে যায়। এর ফলে ওই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। আর এই ইউনিট উৎপাদনে রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ টন কয়লা ব্যবহার কার হয়।
বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এক নম্বর ইউনিট থেকে ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ওখানে প্রচন্ড গরম থাকায় ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠান্ডা হলেই মেরামত শুরু হবে। এতে একদিন সময় লাগতে পারে।
তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের কেমন ঘাটতি হবে- এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হতো উৎপাদন ঘাটতি হবে। এতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ঘাটতি হতে পারে।

পাইপ ফেটে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ায় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে দৈনিক ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তিন ইউনিটবিশিষ্ট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে এক নম্বর ইউনিট চালু আছে, যা থেকে ৭৫-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন এলাকায় তিনটি ইউনিট নিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কারিগরি কারণে একটি ইউনিটকে পর্যায়ক্রমে ওভার হোলিং এ রেখে দুইটি ইউনিট চালু রাখা হয়। বর্তমানে এক ও তিন নম্বর ইউনিট চালু ছিল।
চালু থাকা দুটি ইউনিটের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃতীয় ইউনিটের স্টিম পাইপ ফেটে যায়। এর ফলে ওই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। আর এই ইউনিট উৎপাদনে রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ টন কয়লা ব্যবহার কার হয়।
বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এক নম্বর ইউনিট থেকে ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ওখানে প্রচন্ড গরম থাকায় ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠান্ডা হলেই মেরামত শুরু হবে। এতে একদিন সময় লাগতে পারে।
তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের কেমন ঘাটতি হবে- এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হতো উৎপাদন ঘাটতি হবে। এতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ঘাটতি হতে পারে।