ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পণ্য ছাড়াই এবার রহনপুর ছাড়ল কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশন থেকে কম খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে বিশেষ ট্রেন ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রহনপুর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি। তবে কৃষিপণ্য ছাড়াই রহনপুর ছেড়ে যায়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও শনিবার রহনপুর থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে ট্রেনটি। প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা মিলবে। প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে খরচ পড়বে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ট্রেনের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে ফল ও সবজি পরিবহন করা যাবে। এছাড়া রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত পণ্য মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা হবে।

রহনপুর রেল স্টেশন কুলির সর্দার সবুর আলী জানান, কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি সকাল বেলায় হওয়ায় অনেক চাষী ও ব্যবসায়ীরা পণ্য পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করেছে। তাছাড়া ঢাকায় কুলি বহনের খরচ বেশী নেয়ায় ট্রেনে পণ্য পরিবহন করতে চাচ্ছেনা চাষী ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রহনপুর থেকে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু করার স্বার্থে আমরা অর্ধেক মজুরি হলেও পণ্য বহন করবো। তবে আজ প্রথম দিন রহনপুর রেল স্টেশন থেকে কোন পণ্য বুকি হয়নি।
চাষী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রহনপুর থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য কেজিপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতি কেজি পণ্য ট্রেনে পরিবহন করতে ভাড়ার পাশাপাশি কুলি, মাঠ থেকে স্টেশন ও স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহন খরচ পড়ে যাচ্ছে কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৩ টাকার বেশি। অথচ সড়কপথে ট্রাকে পণ্য পরিবহন করতে তাদের খরচ হয় কেজিপ্রতি দুই-আড়াই টাকা। ট্রেনের সময় সকালে হওয়ায় বাজারজাত নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এছাড়া ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়সহ নানা কারণে সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে না পারলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও চাষী ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনের বড় ঝামেলা কুলি বহন খরচ এখানে স্বাভাবিক নিলেও ঢাকায় কুলি বহনের খরচ বেশী নেয়। এই কুলি বহনের খরচটা যদি রেল কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে দিতো তবে চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হতো। সেখানে কুলিদের বাড়তি টাকা দিতে হতো না।
ট্যাগস :

পণ্য ছাড়াই এবার রহনপুর ছাড়ল কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশন থেকে কম খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে বিশেষ ট্রেন ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রহনপুর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি। তবে কৃষিপণ্য ছাড়াই রহনপুর ছেড়ে যায়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও শনিবার রহনপুর থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে ট্রেনটি। প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা মিলবে। প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে খরচ পড়বে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ট্রেনের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে ফল ও সবজি পরিবহন করা যাবে। এছাড়া রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত পণ্য মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা হবে।

রহনপুর রেল স্টেশন কুলির সর্দার সবুর আলী জানান, কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি সকাল বেলায় হওয়ায় অনেক চাষী ও ব্যবসায়ীরা পণ্য পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করেছে। তাছাড়া ঢাকায় কুলি বহনের খরচ বেশী নেয়ায় ট্রেনে পণ্য পরিবহন করতে চাচ্ছেনা চাষী ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রহনপুর থেকে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু করার স্বার্থে আমরা অর্ধেক মজুরি হলেও পণ্য বহন করবো। তবে আজ প্রথম দিন রহনপুর রেল স্টেশন থেকে কোন পণ্য বুকি হয়নি।
চাষী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রহনপুর থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য কেজিপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতি কেজি পণ্য ট্রেনে পরিবহন করতে ভাড়ার পাশাপাশি কুলি, মাঠ থেকে স্টেশন ও স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহন খরচ পড়ে যাচ্ছে কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৩ টাকার বেশি। অথচ সড়কপথে ট্রাকে পণ্য পরিবহন করতে তাদের খরচ হয় কেজিপ্রতি দুই-আড়াই টাকা। ট্রেনের সময় সকালে হওয়ায় বাজারজাত নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এছাড়া ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়সহ নানা কারণে সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে না পারলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও চাষী ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনের বড় ঝামেলা কুলি বহন খরচ এখানে স্বাভাবিক নিলেও ঢাকায় কুলি বহনের খরচ বেশী নেয়। এই কুলি বহনের খরচটা যদি রেল কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে দিতো তবে চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হতো। সেখানে কুলিদের বাড়তি টাকা দিতে হতো না।