ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:১০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮২ বার পঠিত

ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ঃ
বর্ণাঢ্য শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের ৪৪০
জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ। এ উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (০১-১২-২০২৪) পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে
অনুষ্ঠিত মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন
ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মোঃ এ কে এম শাহাদত হোসেন সাদী পেশাগত ও সকল বিষয়ে
সর্বোচ্চ ফল অর্জন করে সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে লাভ করে। মোঃ শাহীনুর আলম শিমুল দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে
‘ এবং সাব্বির রহমান তৃতীয় স্থান অধিকার করে অর্জন করে।

নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা
ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করেন। সেই সাথে স্মরন করেন জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌবাহিনীকে
যুগোপযোগী এবং প্রযুক্তি সম্পন্ন নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি
সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একটি সক্ষম ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার
লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে উলে- খযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, এমপিএ ও সাবমেরিন যুক্ত
হয়েছে এবং কমিশনিং করা হয়েছে একাধিক নৌ ঘাঁটি। সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক
ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী। এছাড়াও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন ঘাঁটি, উন্নততর জাহাজ, আধুনিক যুদ্ধ
সরঞ্ছাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় শিপইয়ার্ডসমূহ নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ
নির্মাণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত পাঁচটি প্যাট্রোল ক্রাফট ইতোমধ্যে নৌবহরে সংযুক্ত হয়েছে।
নৌবাহিনীতে ২টি Unmanned Aerial Vehicle (UAV) I) ও ৩টি Landing Craft Tank (LCT সংযোজনের
কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ২টি Utility Helicopter অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে নৌবাহিনী
প্রধান আশা প্রকাশ করেন।

বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্ছ মোকাবিলায় একটি যুগোপযোগী নৌবাহিনী গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন চৌকশ ও প্রশিক্ষিত
নাবিক। নৌবাহিনীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান
যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য নাবিক হিসেবে গড়ে তোলার এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে
দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান নবীন
নাবিকদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে আজকের নবীন নাবিকরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার
পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে নৌবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ,
পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৪:১০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ঃ
বর্ণাঢ্য শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের ৪৪০
জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ। এ উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (০১-১২-২০২৪) পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে
অনুষ্ঠিত মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন
ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর বি/২০২৪ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মোঃ এ কে এম শাহাদত হোসেন সাদী পেশাগত ও সকল বিষয়ে
সর্বোচ্চ ফল অর্জন করে সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে লাভ করে। মোঃ শাহীনুর আলম শিমুল দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে
‘ এবং সাব্বির রহমান তৃতীয় স্থান অধিকার করে অর্জন করে।

নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা
ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করেন। সেই সাথে স্মরন করেন জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌবাহিনীকে
যুগোপযোগী এবং প্রযুক্তি সম্পন্ন নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি
সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একটি সক্ষম ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার
লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে উলে- খযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, এমপিএ ও সাবমেরিন যুক্ত
হয়েছে এবং কমিশনিং করা হয়েছে একাধিক নৌ ঘাঁটি। সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক
ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী। এছাড়াও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন ঘাঁটি, উন্নততর জাহাজ, আধুনিক যুদ্ধ
সরঞ্ছাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় শিপইয়ার্ডসমূহ নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ
নির্মাণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত পাঁচটি প্যাট্রোল ক্রাফট ইতোমধ্যে নৌবহরে সংযুক্ত হয়েছে।
নৌবাহিনীতে ২টি Unmanned Aerial Vehicle (UAV) I) ও ৩টি Landing Craft Tank (LCT সংযোজনের
কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ২টি Utility Helicopter অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে নৌবাহিনী
প্রধান আশা প্রকাশ করেন।

বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্ছ মোকাবিলায় একটি যুগোপযোগী নৌবাহিনী গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন চৌকশ ও প্রশিক্ষিত
নাবিক। নৌবাহিনীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান
যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য নাবিক হিসেবে গড়ে তোলার এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে
দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান নবীন
নাবিকদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে আজকের নবীন নাবিকরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার
পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে নৌবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ,
পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।