নাটোর-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি ১৪ জন, নৌকার বিপক্ষে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ৩৯ বার পঠিত
নাটোর প্রতিনিধি :
৫৮ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং তাঁর ভাতিজা লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগরসহ ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকার বিপক্ষে লড়বেন। এ আসনে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ; তাঁর ভাতিজা মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দিন ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য শেফালী মমতজের ছেলে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর; বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও বঙ্গবন্ধু প্রবীণ জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) মো. রমজান আলী সরকার; জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আনিসুর রহমান; জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজল রায়; বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এস এম হুমায়ন কবির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা শাখার সভাপতি, উত্তরবঙ্গ আখচাষী সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল; জাতীয় পার্টির মো. আশিক হোসেন; জাসদের (ইনু) মো. জামাল উদ্দিন ফারুক ও মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. লিয়াকত আলী ছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে গ্রাম পুলিশ মো. এস্কেন আলী এবং সায়েদুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর বলেন, দল থেকে এবার মনোনয়ন চেয়ে পাননি। নেত্রীর কথায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘চাচা (কালাম) একবার সংসদ সদস্য ছিলেন। মানুষ তাঁকে চেনে, এ নিয়ে আমি ভাবছি না।’
সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দিলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দুর্ভাগ্যবশত মনোনয়ন না পেলেও দলের জন্য কাজ করে চলেছেন। এবারও মনোনয়ন না দেওয়ায় নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের বিশেষ অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাধারণ মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। বিগত ৫ বছরে লালপুর-বাগাতিপাড়ায় কোন চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি। এ জনপদের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছেন। তাই দ্বাদশ নির্বাচনে জননেত্রী পূনরায় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ এই জনপদ থেকে অপরাজনীতির হোতা, দূর্নীতিবাজ, যারা গরীবের রক্ত চুষে খায় তাদের অস্তিত্ব বিলীন করে এই জনপদকে শান্তির জনপদে রুপ দেওয়ার মিশন অব্যাহত থাকবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।