নভেম্বরের মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৭৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, নভেম্বরের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে। সরকার যে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছে, আমরা পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা তা মেনে নেব, শিল্পে যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন। আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পোশাক শিল্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সমিতি।
জানা গেছে, সর্বনিম্ন মজুরি বোর্ড বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছে। আর শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ২৩ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। আগামীকাল বুধবার দুই পক্ষ আবারও পৃথক প্রস্তাব জমা দেবে। বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে, যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশে ফরেন রিজার্ভে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেই এতসব ঘটনার পরও ধৈর্য সহকারে কারখানা চালু রেখেছেন, রাখছেন এবং সব সময়ে কারখানা চালু রাখার প্রত্যয় নিয়ে একনিষ্ঠভাবে পরিশ্রম করছেন। তখন কোনাবাড়ি এলাকায় বিজিএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠান এবিএম ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিসংযোগের ঘটনা মালিকদের সব প্রচেষ্টা হতোদ্যম করে দেয়।
এবিএম ফ্যাশন লিমিটেডের ছুটির ৩ ঘণ্টা পর গত ২৬ আগস্ট কয়েকজন বিদেশি সন্ত্রাসী কারখানায় ভাঙচুর চালায়। গতকাল দুপুর ১২টায় কারখানা বন্ধ হওয়ার পর কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী হাতুড়ি ও শাল নিয়ে প্রধান ফটক ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করে, কর্মকর্তাদের জিম্মি করে এবং প্রায় দুই ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।এতে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে কারখানার বাটন অপারেটর মো. ইমরান মারা যান।
তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মালিকদের জানাতে চাই, দেশ ও শিল্পের স্বার্থে, শ্রমিক ভাইবোনদের কর্মসংস্থান সুরক্ষিত রাখতে, যদি কোনো কারখানায় শ্রমিক ভাইবোনরা কাজ না করেন, কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান, তবে মালিকরা ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।
আজকের এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর প্রতি অনুরোধ, পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা প্রদান করুন, এলাকায় সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করুন, সর্বোপরি জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তবে এতে কোনো প্রিয় শ্রমিক ভাইবোন বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
















