ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ঢাবির মেধাবী শিক্ষার্থী যেভাবে হল কুখ্যাত ‘মোটরসাইকেল চোর’

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ ৫১ বার পঠিত

নাজিম, ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী রেজা মোঃ সাইমুন ওরফে তরুণ (৩৫)। চতুর্থ বর্ষে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত হলে তার জীবনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিছুদিন ব্যান্ড দলে থেকে স্টেজ শো করলেও ভাগ্য পরিবর্তন না হওয়ায় মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। এতেও জীবনের কোনো উন্নতি না হওয়ায় ইউটিউবে ভিডিও দেখে জড়িয়ে পড়েন মোটরসাইকেল চুরির মত পেশায়।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে মিরপুর মডেল থানার রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

এসময় তার সহকারী হিসেবে গ্রেফতার হন সাদমান সাকিব (২৯)। অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোটরসাইকেল চুরির মোট সাতটি মামলা রয়েছে। সাকিব আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন বিষয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অধীনে ডিআইপিটিআই ধানমন্ডি ৩২ ক্যাম্পাস থেকে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা করেন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শনিবার রাতে মিরপুর মডেল থানার রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।

যেভাবে মেধাবী শিক্ষার্থী থেকে দুর্ধর্ষ চোরের খাতায় নাম-

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তরুণ ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু স্নাতক শেষ করতে পারেননি। ২০১৫ সালে ৪র্থ বর্ষে থাকাকালে বহিষ্কার হওয়ার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। এরপর কিছুদিন একটি গানের দলে ছিলেন, বিভিন্ন স্টেজ শো করতেন। কিন্তু পরে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার সাজাও হয়।

ইউটিউব থেকে হাতেখড়ি চুরিবিদ্যার-

মিরপুর মডেল থানার ওসি বলেন, ‘সাধারণত অন্যরা মোটরসাইকেল চুরি অপর কোনো চোর থেকে শিখলেও তরুণ শিখেছেন নিজে নিজে। আর এক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা নেন ইউটিউব থেকে। মোটরসাইকেলের তালা কীভাবে ভাঙে সেটা শেখেন প্রথমে, যা নিজের মোটরসাইকেলে প্রয়োগ করেন। এরপর শুরু করেন চুরি। প্রথম প্রথম ধরা না পড়লেও পরে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সর্বশেষ ২০২১ সালে গ্রেফতার হয়ে ১৫ মাস জেল খেটে দুই মাস আগে জামিন পান। জামিনে বেরিয়ে গতকাল রাতে আবারও মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।’

ঢাবির মেধাবী শিক্ষার্থী যেভাবে হল কুখ্যাত ‘মোটরসাইকেল চোর’

আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

নাজিম, ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী রেজা মোঃ সাইমুন ওরফে তরুণ (৩৫)। চতুর্থ বর্ষে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত হলে তার জীবনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিছুদিন ব্যান্ড দলে থেকে স্টেজ শো করলেও ভাগ্য পরিবর্তন না হওয়ায় মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। এতেও জীবনের কোনো উন্নতি না হওয়ায় ইউটিউবে ভিডিও দেখে জড়িয়ে পড়েন মোটরসাইকেল চুরির মত পেশায়।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে মিরপুর মডেল থানার রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

এসময় তার সহকারী হিসেবে গ্রেফতার হন সাদমান সাকিব (২৯)। অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোটরসাইকেল চুরির মোট সাতটি মামলা রয়েছে। সাকিব আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন বিষয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অধীনে ডিআইপিটিআই ধানমন্ডি ৩২ ক্যাম্পাস থেকে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা করেন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শনিবার রাতে মিরপুর মডেল থানার রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।

যেভাবে মেধাবী শিক্ষার্থী থেকে দুর্ধর্ষ চোরের খাতায় নাম-

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তরুণ ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু স্নাতক শেষ করতে পারেননি। ২০১৫ সালে ৪র্থ বর্ষে থাকাকালে বহিষ্কার হওয়ার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। এরপর কিছুদিন একটি গানের দলে ছিলেন, বিভিন্ন স্টেজ শো করতেন। কিন্তু পরে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার সাজাও হয়।

ইউটিউব থেকে হাতেখড়ি চুরিবিদ্যার-

মিরপুর মডেল থানার ওসি বলেন, ‘সাধারণত অন্যরা মোটরসাইকেল চুরি অপর কোনো চোর থেকে শিখলেও তরুণ শিখেছেন নিজে নিজে। আর এক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা নেন ইউটিউব থেকে। মোটরসাইকেলের তালা কীভাবে ভাঙে সেটা শেখেন প্রথমে, যা নিজের মোটরসাইকেলে প্রয়োগ করেন। এরপর শুরু করেন চুরি। প্রথম প্রথম ধরা না পড়লেও পরে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সর্বশেষ ২০২১ সালে গ্রেফতার হয়ে ১৫ মাস জেল খেটে দুই মাস আগে জামিন পান। জামিনে বেরিয়ে গতকাল রাতে আবারও মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।’