ডিগ্রি ছাড়াই ৯ বছর শিক্ষা ছুটি শেষে দেশে ফিরল জাবি শিক্ষক
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪০ বার পঠিত

জাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বাগতা সাইদ ৫ বছরের শিক্ষা ছুটি নিয়ে ৯ বছর বিদেশে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি না নিয়েই দেশে ফিরেছেন। বিষয়টি শিক্ষক মহলে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
অধ্যাপক স্বাগতা সাইদ যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব ফিলোসফি, রিলিজয়ন অ্যান্ড হিস্ট্রি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ড. এমা টোমালিন ও মাইকেল বার্লিনের অধীনে‘Devi Shakti and devi as shakti; is the great goddess in hinduism a symbol of power for women? (A feminist reading of goddess) এই শিরোনামে পোস্ট গ্রাজুয়েট পিএইচডি রিসার্চার হিসেবে গবেষণার অনুমোদন পান।
পিএইচডি ডিগ্রি নিতে পূর্ণ বেতনে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ থেকে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৫ বছরের শিক্ষা ছুটি নেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পিএইচডি শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় (২০১৯ সালের ২৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত) আরও দুই বছরের ছুটি নেন তিনি। দ্বিতীয় দফায় ছুটি শেষ হলে আরও দুই বছর অনুনমোদিত ছুটি কাটান। তবে মোট ৯ বছরের ছুটি কাটিয়েও পিএইচডি ডিগ্রি না নিয়েই দেশে ফেরেন তিনি। এই ৯ বছরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন।
তবে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমা টোমালিনের অফিসিয়াল প্রোফাইলে স্বাগতা সাঈদের পোস্ট গ্রেজুয়েট পিএইচডি রিসার্চার তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাকে ই-মেইল করা হলেও তিনি এর কোনো জবাব দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে অধ্যাপক স্বাগতা সাইদ ২৮ মে বিভাগে যোগদান করেন। কিন্তু তিনি তার ডিগ্রি সংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা সার্টিফিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেননি। এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক স্বাগতা সাঈদ বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারিনি। আমি অসুস্থতার কাগজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করিনি। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর চাইলে আমি আমার মেডিকেল সার্টিফিকেট ও আনুষাঙ্গিক তথ্য এবং উপাত্ত জমা দিব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা ছুটির বাইরে অতিরিক্ত দুই বছরের ছুটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করেননি কিংবা কোনো কারণ দর্শাননি তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরে অনুনমোদিত ছুটির বাইরে অতিরিক্ত ২ বছরের জন্য তিনি ছুটির আবেদন করেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে শিক্ষক ও অধ্যাপক আছেন যারা বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি কিংবা পিএইচডি’র জন্য গমন করলেও তা সম্পন্ন করতে পারেন না। কেন তারা ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারছেন না তা আমরা খতিয়ে দেখব।’
শিক্ষা ছুটি সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি নিলাঞ্জন কুমার সাহা বলেন, স্বাগতা সাঈদের ছুটি সংক্রান্ত কোনো ফাইল আমার কাছে আসেনি। শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি সংক্রান্ত মিটিং হয়েছে, সেখানেও তার বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল না। তাকে অননুমোদিত ছুটি দেওয়া হবে কি না তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
















