ডায়াবেটিসের ৭ অজানা লক্ষণ
- আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ২৩২ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি :
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। এছাড়া কোথাও কেটে গেলে সারতেও চায় না। পানি পান করলে সহজে তৃষ্ণা মেটে না। এছাড়া ক্লান্তি তো আছেই।
তবে চিকিৎসকদের মতে, রক্তে সুগার বেড়ে গেলে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় যা সাধারণত ডায়াবেটিস বলে মনে হয় না। তাদের সম্পর্কে জানাও জরুরী-
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে যেসব লক্ষণ দেখা যায়-
পিরিওডোনটাইটিস: ডায়াবেটিস থাকলে দাঁতের সাধারণ রোগ গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় পিরিয়ডোনটাইটিস। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত।
ত্বকের সমস্যা: রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ার প্রথম লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে। কারণ ছাড়াই শরীরের ভাঁজে ভাঁজে বিশেষ করে ঘাড়, গলা, কাঁধ, বাহুমূল, হাঁটু, কনুইয়ে কালচে ছোপ পড়তে দেখলেই সাবধান হতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘন ঘন সংক্রমণ: ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। ফলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, চুলের গোড়ায় ইনফেকশন বা ফলিকুলাইটিস, নখের কোণে পুঁজ জমে, ডায়াবেটিসও সংক্রমণের পেছনে রয়েছে।
চোখের সমস্যা: উচ্চ রক্তে শর্করা চোখের রক্তনালীর ক্ষতি করে। ফলে অল্প বয়সেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। রেটিনা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দূরের বস্তু দেখতে বা বই পড়তে অসুবিধা।
শ্রবণ সমস্যা: ডায়াবেটিস থাকলে শ্রবণশক্তিও প্রভাবিত হতে পারে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকলে চোখের মতোই কানের রক্তনালী ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কানে কম শোনা গেলেও রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ: কেটোঅ্যাসিডোসিস ডায়াবেটিস রোগীদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাব হলে কিটোন নামক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ, মুখে ফলের গন্ধ উৎপন্ন হয়।
ওজন এবং খাদ্য পরিবর্তন: রক্তে শর্করার বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজনের পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হলে ভাজা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
তবে, ডায়াবেটিস থাকলে প্রত্যেকের ওজন বাড়বে না। কারো কারো ক্ষেত্রে এর বিপরীতও হতে পারে। তাই হঠাৎ ওজনে পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।