ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপো’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ৩এক্স হ্যান্ডসেটের উপর অফারের ঘোষণা মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান Logo গতিতে নাকাল পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৭ Logo রাজশাহীতে শুটিং হওয়া ফারুকীর ‌‘৮৪০’ আসছে Logo শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট Logo বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে Logo ভয়মুক্ত সম্প্রীতিময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা Logo বর্ষপূর্তিতে স্মার্টফোন কিনলে উপহার ও ছাড় দেবে ভিভো Logo যুব বিশ্বকাপ ২০২৫ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দলকে বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা Logo এবার শুটিং সেটে সালমানকে হত্যার হুমকি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে শাস্তি পেলেন দুই ক্যারিবিয়ান

ট্রাম্পের জয়ে বিশ্বে কী প্রভাব পড়বে?

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ এবং অনিশ্চয়তার ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি তিনি ইতোমধ্যেই দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় নীতি বিষয়ক বহু প্রতিশ্রুতিও দিতে দেখা গেছে এই রিপাবলিকান প্রার্থীকে। খবর বিবিসির।

যদিও সেখানে এই নীতির বিষয়ে বিশদ বিবরণের অভাব ছিল। ‘হস্তক্ষেপহীন’ এবং ‘বাণিজ্য সুরক্ষাবাদের’ নীতির ওপর ভিত্তি করেই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েন ট্রাম্প। এই নীতিকে মূলত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

বহু বছরের ‘সমান্তরাল সংকটের’ আবহে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য বাধাগুলোর একটার সম্মুখীন হতে চলেছে, তারই ইঙ্গিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী জয়।

কেমন হতে পারে এই পরিবর্তিত আবহ তার একটা আভাস মিলতে পারে প্রচারাভিযানের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন তার ট্র্যাক রেকর্ড থেকে।

গত মে মাসে ট্রাম্পের দুই প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানের লেখা এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা উচিত। তবে কিয়েভের রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রবেশের বিষয়কে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন করা উচিত।

রাশিয়াকে ‘প্রলুব্ধ’ করতে, পশ্চিমারা ন্যাটোতে ইউক্রেনের বহু কাঙ্ক্ষিত অন্তর্ভূক্তিকে বিলম্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে এ বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টারা বলেছিলেন, ইউক্রেন যে রাশিয়ার দখল থেকে তাদের সব অঞ্চল ফিরে পেতে পারে, সেই আশা ত্যাগ করা উচিত নয়। তবে এই আলোচনা হওয়া উচিত বর্তমানের ‘ফ্রন্ট লাইনের’ ভিত্তিতে।

এদিকে তাকে ধারাবাহিকভাবে বলতে শোনা গেছে যে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং যুদ্ধের কারণে মার্কিন সম্পদের অপচয় বন্ধ করা তার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। এখন তার দুই সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানের গবেষণাপত্রের তথ্যের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব চিন্তা কতটা মিলবে সে নিয়ে হয়ত একটা প্রশ্ন থেকে যায়। কিন্তু এটা অনুমান করা যেতে পারে যে তিনি কী ধরনের পরামর্শ পেতে চলেছেন।

যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ দৃষ্টিভঙ্গি ন্যাটোর ভবিষ্যত সম্পর্কিত কৌশলগত ইস্যুতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই মুহূর্তে ৩০টিরও বেশি দেশ ন্যাটোর অংশ। কিন্তু ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই এই জোটের বিষয়ে সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। অন্যদিকে আমেরিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতির সুযোগ ইউরোপ নিচ্ছে বলেও অতীতে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

তবে ন্যাটো থেকে সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন কি না সেটা একটা বিতর্কের বিষয়। কিন্তু যদি তা হয়, তাহলে সেটা প্রায় শতাব্দীর প্রাচীন ট্রান্স-আটলান্টিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত হবে।

এদিকে ট্রাম্পের কিছু মিত্র বলছে, তার এই কড়া অবস্থান ন্যাটোর সদস্যদের জোটের প্রতিরক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা পূরণ করানোর জন্য দরকষাকষির কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু বাস্তবে, তার এই জয় ন্যাটোর ভবিষ্যতের জন্য কী বার্তা বয়ে আনে এবং বিদ্রোহী নেতারা এর ‘নেতিবাচক’ প্রভাবকে কীভাবে দেখবেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন জোটের নেতারা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন। এদিকে ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্প প্রশাসনকে বয়কট করেছিল। কারণ ফিলিস্তিনিদের জাতীয় ও ধর্মীয় জীবনের ঐতিহাসিক কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও জেরুজালেমের প্রতি তাদের (ফিলিস্তিনিদের) দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি ওয়াশিংটন।

ফিলিস্তিন আরও ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ে যখন ট্রাম্প তথাকথিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর মধ্যস্থতা করেছিলেন যাকে ইসরায়েল এবং বেশ কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হিসাবে দেখা হয়।

এই মধ্যস্থতার সময় শর্ত হিসাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ফিলিস্তিনকে মেনে নিতে হয়নি। এর পরিবর্তে, এই চুক্তিতে সামিল দেশগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিনিময়ে উন্নত মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের সুবিধা পেয়েছিল। এতে ধীরে ধীরে আরও কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে ফিলিস্তিন।

স্ব-শাসিত তাইওয়ানের জন্য সামরিক সহায়তা বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখে এবং মনে করে সেখানে শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়েরই নিয়ন্ত্রণ থাকবে। গত অক্টোবরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, যদি তিনি হোয়াইট হাউজে ফিরে আসেন, তাহলে তাকে চীনা অবরোধ ঠেকাতে তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে হবে না। এর কারণ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানেন যে, তিনি ‘উন্মাদ’ এবং তিনি চীনের ওপর এমন শুল্ক আরোপ করবেন যা ওই দেশকে ‘পঙ্গু’ করে দিতে পারে।

 

ট্যাগস :

ট্রাম্পের জয়ে বিশ্বে কী প্রভাব পড়বে?

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ এবং অনিশ্চয়তার ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি তিনি ইতোমধ্যেই দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় নীতি বিষয়ক বহু প্রতিশ্রুতিও দিতে দেখা গেছে এই রিপাবলিকান প্রার্থীকে। খবর বিবিসির।

যদিও সেখানে এই নীতির বিষয়ে বিশদ বিবরণের অভাব ছিল। ‘হস্তক্ষেপহীন’ এবং ‘বাণিজ্য সুরক্ষাবাদের’ নীতির ওপর ভিত্তি করেই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েন ট্রাম্প। এই নীতিকে মূলত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

বহু বছরের ‘সমান্তরাল সংকটের’ আবহে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য বাধাগুলোর একটার সম্মুখীন হতে চলেছে, তারই ইঙ্গিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী জয়।

কেমন হতে পারে এই পরিবর্তিত আবহ তার একটা আভাস মিলতে পারে প্রচারাভিযানের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন তার ট্র্যাক রেকর্ড থেকে।

গত মে মাসে ট্রাম্পের দুই প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানের লেখা এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা উচিত। তবে কিয়েভের রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রবেশের বিষয়কে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন করা উচিত।

রাশিয়াকে ‘প্রলুব্ধ’ করতে, পশ্চিমারা ন্যাটোতে ইউক্রেনের বহু কাঙ্ক্ষিত অন্তর্ভূক্তিকে বিলম্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে এ বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টারা বলেছিলেন, ইউক্রেন যে রাশিয়ার দখল থেকে তাদের সব অঞ্চল ফিরে পেতে পারে, সেই আশা ত্যাগ করা উচিত নয়। তবে এই আলোচনা হওয়া উচিত বর্তমানের ‘ফ্রন্ট লাইনের’ ভিত্তিতে।

এদিকে তাকে ধারাবাহিকভাবে বলতে শোনা গেছে যে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং যুদ্ধের কারণে মার্কিন সম্পদের অপচয় বন্ধ করা তার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। এখন তার দুই সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানের গবেষণাপত্রের তথ্যের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব চিন্তা কতটা মিলবে সে নিয়ে হয়ত একটা প্রশ্ন থেকে যায়। কিন্তু এটা অনুমান করা যেতে পারে যে তিনি কী ধরনের পরামর্শ পেতে চলেছেন।

যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ দৃষ্টিভঙ্গি ন্যাটোর ভবিষ্যত সম্পর্কিত কৌশলগত ইস্যুতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই মুহূর্তে ৩০টিরও বেশি দেশ ন্যাটোর অংশ। কিন্তু ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই এই জোটের বিষয়ে সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। অন্যদিকে আমেরিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতির সুযোগ ইউরোপ নিচ্ছে বলেও অতীতে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

তবে ন্যাটো থেকে সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন কি না সেটা একটা বিতর্কের বিষয়। কিন্তু যদি তা হয়, তাহলে সেটা প্রায় শতাব্দীর প্রাচীন ট্রান্স-আটলান্টিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত হবে।

এদিকে ট্রাম্পের কিছু মিত্র বলছে, তার এই কড়া অবস্থান ন্যাটোর সদস্যদের জোটের প্রতিরক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা পূরণ করানোর জন্য দরকষাকষির কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু বাস্তবে, তার এই জয় ন্যাটোর ভবিষ্যতের জন্য কী বার্তা বয়ে আনে এবং বিদ্রোহী নেতারা এর ‘নেতিবাচক’ প্রভাবকে কীভাবে দেখবেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন জোটের নেতারা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন। এদিকে ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্প প্রশাসনকে বয়কট করেছিল। কারণ ফিলিস্তিনিদের জাতীয় ও ধর্মীয় জীবনের ঐতিহাসিক কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও জেরুজালেমের প্রতি তাদের (ফিলিস্তিনিদের) দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি ওয়াশিংটন।

ফিলিস্তিন আরও ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ে যখন ট্রাম্প তথাকথিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর মধ্যস্থতা করেছিলেন যাকে ইসরায়েল এবং বেশ কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হিসাবে দেখা হয়।

এই মধ্যস্থতার সময় শর্ত হিসাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ফিলিস্তিনকে মেনে নিতে হয়নি। এর পরিবর্তে, এই চুক্তিতে সামিল দেশগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিনিময়ে উন্নত মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের সুবিধা পেয়েছিল। এতে ধীরে ধীরে আরও কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে ফিলিস্তিন।

স্ব-শাসিত তাইওয়ানের জন্য সামরিক সহায়তা বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখে এবং মনে করে সেখানে শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়েরই নিয়ন্ত্রণ থাকবে। গত অক্টোবরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, যদি তিনি হোয়াইট হাউজে ফিরে আসেন, তাহলে তাকে চীনা অবরোধ ঠেকাতে তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে হবে না। এর কারণ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানেন যে, তিনি ‘উন্মাদ’ এবং তিনি চীনের ওপর এমন শুল্ক আরোপ করবেন যা ওই দেশকে ‘পঙ্গু’ করে দিতে পারে।