আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন। আলোচনায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় উঠে এসেছে। বৈঠকে বিশ্বের এই দুই শক্তিধর দেশের সম্পর্কের পারদ গলে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। তবে দীর্ঘ বৈঠকটি ততটা ফলপ্রসূ ছিল না যতটা বিডেনের কথা থেকে স্পষ্ট ছিল। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাকে আবারও ‘স্বৈরাচার’ বলে অভিহিত করেন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বাইডেন এবং শি সান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগান বাড়িতে । দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয়।

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে বেইজিংয়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। বুধবার বৈঠক শেষে তাই এক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন কি না?

জবাবে বিডেন বলেন, তিনি তাই মনে করেন। আমি বলতে চাচ্ছি, তিনি যেভাবে শাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারী কাঠামো আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, শি জিনপিং একজন স্বৈরশাসক।

আজকের বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রকে খোঁচা দিতে দ্বিধা করেননি। তাইওয়ান ইস্যুতে শি জিনপিং কড়া বার্তা দিয়েছেন।

চীনা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, শি জিনপিং বাইডেনকে বলেছিলেন যে আপনিই স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তা প্রমাণ করুন।

একই সঙ্গে শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন। জবাবে, বাইডেন তাকে আশ্বস্ত করেন, “আমি এই নীতি পরিবর্তন করব না।”