ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপো’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ৩এক্স হ্যান্ডসেটের উপর অফারের ঘোষণা মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান Logo গতিতে নাকাল পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৭ Logo রাজশাহীতে শুটিং হওয়া ফারুকীর ‌‘৮৪০’ আসছে Logo শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট Logo বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে Logo ভয়মুক্ত সম্প্রীতিময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা Logo বর্ষপূর্তিতে স্মার্টফোন কিনলে উপহার ও ছাড় দেবে ভিভো Logo যুব বিশ্বকাপ ২০২৫ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দলকে বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা Logo এবার শুটিং সেটে সালমানকে হত্যার হুমকি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে শাস্তি পেলেন দুই ক্যারিবিয়ান

ছেলের ‘দুর্ঘটনা’ নিয়ে মুখ খুলছে না পরী মণির বাড়ির কেউ

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৫০ বার পঠিত

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতেই ছেলের আহত হওয়া একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন পরী মণি। চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে, চোখের ওপরটা লাল হয়ে আছে। ছেলে পূণ্যর এমন একটি ছবি পোস্ট করে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নায়িকা জানালেন, তার বাসায় না থাকার অনুপস্থিতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে বাড়িতে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কেউ স্বীকার করছেন না, কীভাবে ব্যথা পেয়েছে পূণ্য।

পরীমণি লিখেছেন, আপনার অনেকেই হয়তো জানেন যে, গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙ্গিলা কিতাব’-এর ট্রেলার লঞ্চিংয়ের আয়োজন ছিলো। সেখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাইনি বা নিতে চাইনি।

তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো, আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রাউড ফেইস করুক। দ্বিতীয়ত, আমি আমার ছেলের জন্য দ্বায়িত্বরত তিনজন মানুষের একটা সুন্দর/প্রপারলি দ্বায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফেইলড! আমার ছেলে টা ইনজুরড।

ছেলে কীভাবে ব্যাথা পেয়েছে সেটা এখনও জানতে পারেননি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি- ইঞ্জুরড কিভাবে হয়েছে? কেউই সত্যি/ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর, ‘আমি/আমরা কিছু জানিনা। কই কি হইছে দেখি তো!’

‘আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী আগুন লাগাতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।

তবে বর্তমানে ছেলে সুস্থ আছেন উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যাই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতো। কি করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এতো ধৈর্য্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে..! আল্লাহ মহান! আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়তো। কিন্তু আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।’

ছেলের বয়স প্রায় দু’বছর। ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিন পালনের খুব বেশি সময় হয়নি। তারপর নায়িকা নিজের জন্মদিনও উদযাপন করেন দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে।

শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকেই পরী তার ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন। ছেলের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব মায়ের ওপরই। পূণ্যকে নিয়েই পরী এদিক-সেদিক যান। এমনকি শ্যুটিংয়েও ছেলেকে নিয়ে যেতে ভোলেন না অভিনেত্রী।

ট্যাগস :

ছেলের ‘দুর্ঘটনা’ নিয়ে মুখ খুলছে না পরী মণির বাড়ির কেউ

আপডেট সময় : ০৩:১৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ কন্ঠ ।।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতেই ছেলের আহত হওয়া একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন পরী মণি। চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে, চোখের ওপরটা লাল হয়ে আছে। ছেলে পূণ্যর এমন একটি ছবি পোস্ট করে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নায়িকা জানালেন, তার বাসায় না থাকার অনুপস্থিতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে বাড়িতে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কেউ স্বীকার করছেন না, কীভাবে ব্যথা পেয়েছে পূণ্য।

পরীমণি লিখেছেন, আপনার অনেকেই হয়তো জানেন যে, গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙ্গিলা কিতাব’-এর ট্রেলার লঞ্চিংয়ের আয়োজন ছিলো। সেখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাইনি বা নিতে চাইনি।

তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো, আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রাউড ফেইস করুক। দ্বিতীয়ত, আমি আমার ছেলের জন্য দ্বায়িত্বরত তিনজন মানুষের একটা সুন্দর/প্রপারলি দ্বায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফেইলড! আমার ছেলে টা ইনজুরড।

ছেলে কীভাবে ব্যাথা পেয়েছে সেটা এখনও জানতে পারেননি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি- ইঞ্জুরড কিভাবে হয়েছে? কেউই সত্যি/ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর, ‘আমি/আমরা কিছু জানিনা। কই কি হইছে দেখি তো!’

‘আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী আগুন লাগাতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।

তবে বর্তমানে ছেলে সুস্থ আছেন উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যাই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতো। কি করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এতো ধৈর্য্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে..! আল্লাহ মহান! আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়তো। কিন্তু আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।’

ছেলের বয়স প্রায় দু’বছর। ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিন পালনের খুব বেশি সময় হয়নি। তারপর নায়িকা নিজের জন্মদিনও উদযাপন করেন দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে।

শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকেই পরী তার ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন। ছেলের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব মায়ের ওপরই। পূণ্যকে নিয়েই পরী এদিক-সেদিক যান। এমনকি শ্যুটিংয়েও ছেলেকে নিয়ে যেতে ভোলেন না অভিনেত্রী।