সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় তুলা চাষে উদ্বুদ্ধকরণে তুলা চাষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট সময় : ০৩:২০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ২৭ বার পঠিত
বাংলাদেশ কন্ঠ ।।
সানজিদা খাতুন,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় তুলা চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে তুলা চাষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার বেলা ৪ টায় গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় তুলা চাষি ও কৃষকদের উপস্থিত ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকার ৩০ জন তুলা চাষি ও কৃষকদের মাঝে তুলা উৎপাদন রোগবালাই দমন,মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কম্পোস্ট সারের ভূমিকা,বীজ বপনের সঠিক সময় নির্ধারণ,আগাছা দমন,চারা পাতলা করণ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান তুলা উন্নয়ন বোর্ড,চুয়াডাঙ্গা জোনের আয়োজনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে এ তুলা চাষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রধান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেন দেবাশীষ এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস।এসময় তিনি বলেন,তুলা চাষ লাভজনক একটি চাষ,বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়।বর্তমানে তুলা চাষের সাথে বিভিন্ন সাথী ফসল চাষ করতে পারছেন কৃষক ভাইয়েরা,ফলে বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ চাষে ঝুঁকছেন।এ চাষে লাভবান হবার সাথে সাথে কৃষকেরা পাশাপাশি সাথী ফসল বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন তারা।পাশাপাশি উৎপাদিত তুলা দেশের চাহিদা পুরণ করে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।তিনি উপস্থিত কৃষকদের অন্যান্য ফসলের ন্যায় তুলা চাষের আহবান জানান।
দামুড়হুদা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কটন ইউনিট কার্যালয়ের কটন অফিসার বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানজীর ফয়সাল,সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ,কটন ইউনিট অফিসার শামসুজ্জাহা সহ তুলা চাষিরা।
অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে উপস্থিত তুলা চাষি সহ কৃষকরা বলেন,তুলা মৌসুমের সিজনের প্রতি বছরের তুলার একটি দাম নির্ধারণ করাই লোকশান থাকেন না।এ বছরের প্রতিমণ তুলা ৪ হাজর টাকা করে বিক্রি করতে পারবো বলে জেনেছি।এই হিসেবে অন্যান্য ফসলের বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় আমরা আমাদের ক্ষেতে ধান,পাট,ভুট্টা,গম,আলু,বাদাম সহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করার পর কখনো কখনো লোকশান গুনতে হয়।এক্ষেত্রে তুলা চাষে লোকশানের ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম বা নেই বললেই চলে,ফলে যে সকল কৃষকরা তুলা চাষ করেন না তারা সহ সকল তুলা চাষি আগামীতে তাদের জমিতে বেশি পরিমাণ জমিতে তুলা চাষ করবেন এমন আশা প্রকাশ করে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।