চাঁদপুরে জাহাজে সাত খুনের ঘটনার চাঞ্চল্যকর রহস্য, মূলহোতা গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পঠিত
বাংলাদেশ কণ্ঠ ।।
মো: ইয়াছিন মিয়া,কুমিল্লা সদর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এমভি-আল বাখেরা জাহাজে সংঘটিত সাত খুনের ঘটনার মূলহোতা আকাশ মন্ডল (২৬) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১ সিপিসি ২। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে আকাশ মন্ডলকে বাগেরহাটের চিতলমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূলহোতা আকাশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আকাশ মন্ডল বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার জগদীশ মন্ডল ও মনিকা রানীর ছেলে। আকাশ পেশায় জাহাজের লস্কর। আট মাস ধরে সে এমভি-আল বাখেরা জাহাজে চাকরি করছিলেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাকতলা র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর উপ অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন। মেজর সাকিব জানান, আকাশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে জানায়, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়ার দুর্ব্যবহার, বেতন-বোনাসে অনিয়ম এবং কর্মচারীদের প্রতি অবহেলা তাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এ থেকেই আকাশ প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর সে তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কিনে রাখেন। পরে, ঘটনার দিন ২২ ডিসেম্বর রাতে আকাশ তরকারির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে মাস্টারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন। পরে অন্যরা টের পেয়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় সে একে একে ছয়জনকে হত্যা করেন। আকাশের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের পর সে নিজেই জাহাজ চালিয়ে মাঝিরচরে পৌঁছান। পরদিন সকালে ট্রলারে করে পালিয়ে যান এবং বাগেরহাটের চিতলমারিতে আত্মগোপন করেন। র্যাব আরো জানায়, আকাশের কাছ থেকে রক্তমাখা জিন্স, মোবাইল ফোন, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো সহযোগী ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে চাঁদপুরের হাইমচরে এমভি-আল বাখেরা জাহাজে সাতজনকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং একজনকে গুরুতর আহত করে৷ এ ঘটনায় চাঁদপুরের হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নিহতরা হলেন, গোলাম কিবরিয়া (৬০), শেখ সবুজ (৩৫), মোঃ সজীবুল ইসলাম (২৯), মাজেদুল ইসলাম (১৭), আমিনুর মুন্সি (৪১), সালাউদ্দিন (৪০) এবং রানা কাজী। আহত জুয়েল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।