ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুণে ভরপুর হলেও চিয়া সিড অতিরিক্ত খেলে হতে পারে স্বাস্থ্য সমস্যা!

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৮৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

শরীরের পানির চাহিদা মেটানো থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে চিয়া বীজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বীজে সহজে হজমযোগ্য ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। চিয়া সিড মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে।

তাই স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে এই চিয়া সিডের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এটি পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং কিংবা সালাদে ছড়িয়েও খাওয়া যায়। আমেরিকার কৃষিবিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, এক আউন্স অর্থাৎ ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ থেকে পাওয়া যায় ১৩৮ ক্যালোরি।

এতে প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। মোট ফ্যাটের পরিমাণও তাই। কার্বোহাইড্রেট ১২ গ্রাম। ফাইবার ১০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ১৭৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ২ মিলিগ্রাম ও জিঙ্কের পরিমাণ ১.৩ মিলিগ্রাম। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত গুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে কিন্তু উপকারের বদলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেগুলো হল-

হজমের সমস্যা: অনেক বেশি চিয়া বীজ খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। চিয়া বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। ফাইবার পেট সুস্থ রাখতে খুব উপকারী।

তবে বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি নয়।

রক্ত পাতলা হওয়া : চিয়া বীজ ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি রক্ত পাতলা করে। এটি শরীরের জন্য ভালো হলেও যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করছেন তাদের জন্য এটি সমস্যা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া বীজ খাওয়া উচিত।

শর্করার মাত্রা সম্পূর্ণ কমে যাওয়া: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তবে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

চিয়া বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব ক্ষতিকর। ইনসুলিন নিলে এসব বীজ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

গুণে ভরপুর হলেও চিয়া সিড অতিরিক্ত খেলে হতে পারে স্বাস্থ্য সমস্যা!

আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

শরীরের পানির চাহিদা মেটানো থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে চিয়া বীজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বীজে সহজে হজমযোগ্য ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। চিয়া সিড মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে।

তাই স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে এই চিয়া সিডের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এটি পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং কিংবা সালাদে ছড়িয়েও খাওয়া যায়। আমেরিকার কৃষিবিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, এক আউন্স অর্থাৎ ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ থেকে পাওয়া যায় ১৩৮ ক্যালোরি।

এতে প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। মোট ফ্যাটের পরিমাণও তাই। কার্বোহাইড্রেট ১২ গ্রাম। ফাইবার ১০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ১৭৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ২ মিলিগ্রাম ও জিঙ্কের পরিমাণ ১.৩ মিলিগ্রাম। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত গুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে কিন্তু উপকারের বদলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেগুলো হল-

হজমের সমস্যা: অনেক বেশি চিয়া বীজ খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। চিয়া বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। ফাইবার পেট সুস্থ রাখতে খুব উপকারী।

তবে বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি নয়।

রক্ত পাতলা হওয়া : চিয়া বীজ ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি রক্ত পাতলা করে। এটি শরীরের জন্য ভালো হলেও যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করছেন তাদের জন্য এটি সমস্যা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া বীজ খাওয়া উচিত।

শর্করার মাত্রা সম্পূর্ণ কমে যাওয়া: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তবে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

চিয়া বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব ক্ষতিকর। ইনসুলিন নিলে এসব বীজ থেকে দূরে থাকাই ভালো।