সংবাদ শিরোনাম :
খাল বিল পুকুর ভরাটে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য, এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনবিহীন পুকুর ভরাট।

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট সময় : ০১:২০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ১০৬ বার পঠিত

বাংলাদেশকন্ঠ প্রতিবেদক।।
আলমগীর হোসেন আলম কুমিল্লা জেলা ব্যাুরো চীফঃ
কুমিল্লা লালমাই জমিদার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী ৩০০ শত বছর পুরানো পুকুর পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যতীত ভরাট করছেন সিন্ডিকেটের স্থানীয় সদস্যরা এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
সরজমিনে প্রকাশ :
কুমিল্লা লালমাই দত্তপুরস্হ মৃত সেকান্দর আলি মজুমদার এর পৈতৃক সম্পত্তি । ঐতিহ্যবাহী পুকুর মসজিদ। লালমাই বাজার থেকে বাগমারা যাওয়ার পথে রাস্তার পূর্ব পাশে প্রথম ঐতিহ্যবাহী মজুমদার বাড়ির মসজিদ পুকুর ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির ঐতিহ্যকে ধুলিস্যাৎ করার লক্ষ্যে কিছু ভূমি খেকোগন,
কুমিল্লা লালমাই দত্তপুরে অন্তত ৩০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী পুকুরকে স্থানীয় সিন্ডিকেটের ভূমি খেকো সদস্যদের জোগসাজসে ৩১৮ দাগের পুকুর ভরাট করে যাচ্ছেন পুকুরের জায়গা দখল করছেন। যদিও পুকুরের মালিকানা নিয়ে বিভিন্ন বিক্রির পাওয়ারের মধ্যস্থতার বিষয়ে জড়িত আছে কিন্তু পুকুর ভরাট করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়।অনুমোদন না নিয়ে রাতের অন্ধকারে জোরে সোরে বেআইনি অবৈধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে কুমিল্লা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকটে জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী । এই ঐতিহ্য বাহী পুকুর ভরাটের বিষয়ে স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গণ বিরোপ মন্তব্য করেছেন। এই বিষয়ে দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠে কুমিল্লা জেলার প্রতিবেদক সরজমিনে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সার্বিক তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন। পরিদর্শনকালে দেখা যায় এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর একাধিক ব্যক্তি থেকে জানা যায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির পুকুরটি ভরাট করিয়া পুকুরের মধ্যখানে আরসিসি ফিলারের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ করতেছেন এবং পুকুরের পাড়ে অনেকগুলা গাছ কর্তন করছেন। স্থানীয় জৈনিক আবুল হোসেন মিয়াকে পুকুর ভরাটের বিষয়ে এবং গাছ কর্ত্তন করার বিষয়ে কোনো ছাড়পত্র নিয়েছেন জানেন নাকি বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান আসলে আমরা কি বলবো উনারা যা করছেন তা অন্যায় করছেন।ক্ষমতার প্রভাবের মাধ্যমে তারা এই ঐতিহ্যবাহী পুকুরটি ভরাট করে এবং পুকুরের মধ্যখানে আরসিসি পিলারের মাধ্যমে নির্মাণ পূর্বক পুকুরের জায়গা দখল করছেন। রাতের অন্ধকারে তিনটি স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পুকুরের পানি নিষ্কাশন করিয়া তোর জোর ভাবে কাজকর্ম করতেছেন। আমরা এই বিষয়ে বাধা প্রদান করলে আমাদের উপরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করিবে বলে আমরা ভয়ে ভীত অবস্থায় আছি। তবে তাদেরই বংশধর এই পুকুর ভরাটের বিষয়ে লালমাই থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা স্থলে কিছুক্ষণ আগে পুলিশ আসেন এবং নিম্নান কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় কাজকর্ম করতেছেন। তিনি আরো জানান যারা একসময়ের অনেক নিম্নমানের কাজ করতেন অনেকে রিকশা চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন তারাই এখন ক্ষমতার প্রভাব সৃষ্টি করে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন বলে প্রতিবেদক কে জানান। এ বিষয়ে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকে জানান পুকুর ভরাটের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগ সূত্রে তদন্ত করিতে পুলিশ ঘটনা স্হলে গিয়েছেন এবং পুকুর ভরাটের বিষয়ে নির্মাণ কাজ না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য প্রশাসন কর্তৃক জানানো হয়েছে।