ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতায় এসে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করে খালেদা জিয়া:প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিধিনি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম। এ সময় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ১০,০০০ ক্লিনিক তৈরি করেছি এবং ৪,০০০ চালু করেছি। এক বছরের মধ্যে, এটি ৭০ শতাংশ সফল হয়। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। কারণ সেখানে টাকা ছাড়া ওষুধ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এরপর ক্ষমতায় আসে বিএনপি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন, সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করে। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩-এ তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই থেকে এদেশের মানুষকে বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা শুরু হয় জাতির জনক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটাজীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণে আমার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে কুষ্ঠরোগ নির্মূল করা সম্ভব, আমরা আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব। আমরা যা করেছি তা প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা যখন প্রথম সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্যসেবার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ ছিল না।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবার মানুষের স্বাস্থ্যসবার থেকে বিশেষ নজর দেই। এর ফলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করি। আমি ধন্যবাদ জানাই জাতিসংঘকে, জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ, তাদের সকলের সম্মতিতে কমিউনিটি ক্লিনিককে সার্বজনীক স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চিন্তাটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব ছিল। এটা আমি নিজেই লিখেছিলাম। আমাদের স্বাস্থ্য সচিব ছিলেন মোহাম্মদ আলী সাহেব, তার বাড়ি নরসিংদী, আমি তাকে দিয়ে বলি যে আমার এ ধরনের একটা ধারণা আছে, এটা কার্যকর করা যায় কি না, যারা বিশেষজ্ঞ তাদের নিয়ে যাচাই করে দেখবেন। প্রায় ছয় মাসের ওপর তিনি এটা নিয়ে কাজ করেন। এটা নিয়ে আলোচনা হয়, তারপর আমরা এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সবগুলো থেকেই মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি, সম্পূর্ণ বিনা পয়সা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা বাচ্চা শিশু যদি হিজড়া বা প্রতিবন্ধী হয়- তার বাবা-মা ফেলে দিতে পারে না। ফেলে দেওয়া উচিত না। আমরা কেন ফেলে দেবো? তারা সম্পদেরও অংশীদার, এটা আমাদের ইসলাম ধর্মেও আছে। কুষ্ঠরোগ চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যায়। তারা এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব জীবনযাপন করে। আমি সব স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার-নার্স, বিভাগ, সংস্থা, সেই সাথে সব নাগরিককে কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবহেলা না করে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

ক্ষমতায় এসে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করে খালেদা জিয়া:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিধিনি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম। এ সময় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ১০,০০০ ক্লিনিক তৈরি করেছি এবং ৪,০০০ চালু করেছি। এক বছরের মধ্যে, এটি ৭০ শতাংশ সফল হয়। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। কারণ সেখানে টাকা ছাড়া ওষুধ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এরপর ক্ষমতায় আসে বিএনপি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন, সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করে। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩-এ তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই থেকে এদেশের মানুষকে বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা শুরু হয় জাতির জনক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটাজীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণে আমার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে কুষ্ঠরোগ নির্মূল করা সম্ভব, আমরা আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব। আমরা যা করেছি তা প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা যখন প্রথম সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্যসেবার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ ছিল না।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবার মানুষের স্বাস্থ্যসবার থেকে বিশেষ নজর দেই। এর ফলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করি। আমি ধন্যবাদ জানাই জাতিসংঘকে, জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ, তাদের সকলের সম্মতিতে কমিউনিটি ক্লিনিককে সার্বজনীক স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চিন্তাটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব ছিল। এটা আমি নিজেই লিখেছিলাম। আমাদের স্বাস্থ্য সচিব ছিলেন মোহাম্মদ আলী সাহেব, তার বাড়ি নরসিংদী, আমি তাকে দিয়ে বলি যে আমার এ ধরনের একটা ধারণা আছে, এটা কার্যকর করা যায় কি না, যারা বিশেষজ্ঞ তাদের নিয়ে যাচাই করে দেখবেন। প্রায় ছয় মাসের ওপর তিনি এটা নিয়ে কাজ করেন। এটা নিয়ে আলোচনা হয়, তারপর আমরা এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সবগুলো থেকেই মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি, সম্পূর্ণ বিনা পয়সা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা বাচ্চা শিশু যদি হিজড়া বা প্রতিবন্ধী হয়- তার বাবা-মা ফেলে দিতে পারে না। ফেলে দেওয়া উচিত না। আমরা কেন ফেলে দেবো? তারা সম্পদেরও অংশীদার, এটা আমাদের ইসলাম ধর্মেও আছে। কুষ্ঠরোগ চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যায়। তারা এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব জীবনযাপন করে। আমি সব স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার-নার্স, বিভাগ, সংস্থা, সেই সাথে সব নাগরিককে কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবহেলা না করে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।