সংবাদ শিরোনাম :
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ১৬ জন এমএলএসএস নিয়োগে হাইকোর্টের সুপারিশ
বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট সময় : ০১:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৭৩০ বার পঠিত

বাংলাদেশ কণ্ঠ।। রবিবার।। ২৬.১০.২৫।।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডেএম এল এস এস পদে নিয়োগ বৈধ করার জন্য। ১। আরিফুর রহমান,২। আনোয়ার হোসেন ৩।পারভিন আক্তার ৪।এরশাদ মিয়া৫। শিরিন সরকার ৬।শ্যামলী রায় ৭।মোঃ জহিরুল ইসলাম ৮। মো: আবু তাহের ৯। আসিফ মাহমুদ ১০। কাজী সাইফুর রহমান ১১।শেখ ফরিদ ১২। মাসুদ ১৩।মহিন উদ্দিন ১৪।মোঃআবুল হাসেম,১৫। কিরণ মালিক১৬। মো: রাকিব হোসেন। গং গনের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মো: খোরশেদ আলম।
গত ২/৭/২০২৪ ইংরেজি তারিখে খোরশেদ আলম এডভোকেট সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশ কর্তৃক কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান,এবং সচিব বরাবরে যার সূত্র ধরে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপরোক্ত নামধারী পদের কর্মচারী ডেইলী বেসিস দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন শাখা সহ শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন কাজে দৈনিক লেবার হিসেবে কর্মরত থাকিয়া কাজকর্ম করাকালীন সময়ে এমএলএসএস পদে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ১৬ জন এমএলএসএস দের বৈধকরণ করার জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন।
পরবর্তীতে মামলায় রূপান্তরিত হয় মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে যার রিটনং ১০৫৭১ /২৪ আরিফুর রহমান বনাম চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা।
বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে মামলাটি শুনানি ক্রমে। মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ কুমিল্লা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিব বরাবরে এক ডিরেকশন আদেশ প্রদান করেন যা হোবাহুবতুলে ধরা হলো।
মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিব, বরাবরে এলএমএসএস এর পক্ষে নিয়োজিত অ্যাডভোকেটের আবেদন মতে মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চ এক ডিরেকশন আদেশ প্রদান করেন।১৬ জন এমএলএসএস পদধারীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১৬ জন এমএলএসএস দেরকে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেন চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা কে।
সেই মোতাবেক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ খুব গুরুত্বের সহিত মহামান্য হাইকোর্টের সংবলিত আদেশটির উপর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা আগামী২৮।১০।২৫ ইংরেজি তারিখে রিপোর্ট পেশ করার জন্য কমিটি দ্বয় কে অনুরোধ ক্রমে আদেশ করেন।
এই বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বাংলাদেশ কণ্ঠকে জানান পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের শিক্ষা বোর্ডের জনবল নিয়োগ কে কেন্দ্র করে বর্তমানে শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার লোক নিয়োগের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে এবং ৯ জন কর্মকর্তা, দুজন কর্মচারী সহ কমিশনে কার্যালয়ে স্ব শরীরে হাজির মর্মে সাক্ষাৎ প্রদান করিয়াছেন এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সার্বিক ফাইল পত্র তদন্তের স্বার্থে কমিশনের হেফাজতে নেন।বর্তমানে ১৬ জন এমএলএসএস এর নিয়োগের বিষয় টিকে সিবিএ নেতারা মহামান্য হাইকোর্টের সুপারিসকে অপব্যাখ্যা করিয়া ১৬ জন থেকে ৫০ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ টাকা গ্রহণ করেছেন মর্মে শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে কর্মচারীরা কানা গোসা করছেন এবং ১৬ জনের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সিবিএ, নেতা সিরাজ মিয়া। হেলালী, আলেস মিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন এবং সিবিএ নেতাদের তৎপরতা নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। যা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়। যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও সিবিএ নেতারা নিজেদের প্রভাব ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ করাবেন মর্মে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।
মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ নির্দেশনায় ১৬জন এলএমএসএস এর নিয়োগের বিষয়ে সুস্পষ্ট উল্লেখ করেছেন নিয়োগের কোন বিষয়ে অযোগ্যতা অসম্পন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্যতা গন্য হইবে।









