ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোতে কয়েকদিনের সংঘাতে নিহত ৭০০

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৩ বার পঠিত

বাংলাদেশ কণ্ঠ ।।

মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর গোমায় কয়েকদিন ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। খবর বিবিসির।জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা নর্থ কিভু প্রদেশের রাজধানীটি দখল করে নেওয়ায় সংঘাতের সূত্রপাত হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিদ্রোহীরা এখন দক্ষিণের সাউথ কিভুর রাজধানী বুকাভুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।দেশটির পূর্বাঞ্চল ঘিরে ১৯৯০ এর দশক থেকেই সংঘাত-সংঘর্ষ চলে আসছে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। তুতসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের দিয়ে গঠিত মার্চ টোয়েন্টিথ্রি মুভমেন্ট বা এম২৩ বলছে, সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা লড়াই করে যাচ্ছে।অপরদিকে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকার বলছে, রুয়ান্ডা সমর্থিত এই বিদ্রোহীদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চল দখল করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর অংশীদারদের মূল্যায়ন ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকারের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে শুক্রবার স্টিফেন দুজারিক জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই অন্তত ৭০০ জন নিহত হয়েছে।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুকাভুর প্রতিরক্ষায় শত শত বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেজ কায়িকোয়াম্বা ভাগনার বিবিসিকে বলেন, রুয়ান্ডা অবৈধভাবে কঙ্গো দখল করছে এবং এর সরকার বদলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামেকে জবাবদিহিতার আওতায় না এনে তাকে দশকের পর দশক ধরে যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।তবে রুয়ান্ডা সরকারের মুখপাত্র ইয়োলান্ড মাগোদো সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের সংঘাত যেন রুয়ান্ডার ভেতরে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তার দেশের সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধে আগ্রহী নই, সীমানা বাড়াতেও আগ্রহী নই। কঙ্গোতে সরকার ফেলে দেওয়ার কোনো আগ্রহও আমাদের নেই। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এম২৩-র পাশাপাশি রুয়ান্ডার তিন থেকে চার হাজার সৈন্যও সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ট্যাগস :

কঙ্গোতে কয়েকদিনের সংঘাতে নিহত ৭০০

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ কণ্ঠ ।।

মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর গোমায় কয়েকদিন ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। খবর বিবিসির।জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা নর্থ কিভু প্রদেশের রাজধানীটি দখল করে নেওয়ায় সংঘাতের সূত্রপাত হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিদ্রোহীরা এখন দক্ষিণের সাউথ কিভুর রাজধানী বুকাভুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।দেশটির পূর্বাঞ্চল ঘিরে ১৯৯০ এর দশক থেকেই সংঘাত-সংঘর্ষ চলে আসছে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। তুতসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের দিয়ে গঠিত মার্চ টোয়েন্টিথ্রি মুভমেন্ট বা এম২৩ বলছে, সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা লড়াই করে যাচ্ছে।অপরদিকে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকার বলছে, রুয়ান্ডা সমর্থিত এই বিদ্রোহীদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চল দখল করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর অংশীদারদের মূল্যায়ন ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকারের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে শুক্রবার স্টিফেন দুজারিক জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই অন্তত ৭০০ জন নিহত হয়েছে।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুকাভুর প্রতিরক্ষায় শত শত বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেজ কায়িকোয়াম্বা ভাগনার বিবিসিকে বলেন, রুয়ান্ডা অবৈধভাবে কঙ্গো দখল করছে এবং এর সরকার বদলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামেকে জবাবদিহিতার আওতায় না এনে তাকে দশকের পর দশক ধরে যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।তবে রুয়ান্ডা সরকারের মুখপাত্র ইয়োলান্ড মাগোদো সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের সংঘাত যেন রুয়ান্ডার ভেতরে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তার দেশের সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধে আগ্রহী নই, সীমানা বাড়াতেও আগ্রহী নই। কঙ্গোতে সরকার ফেলে দেওয়ার কোনো আগ্রহও আমাদের নেই। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এম২৩-র পাশাপাশি রুয়ান্ডার তিন থেকে চার হাজার সৈন্যও সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।