কংগ্রেস সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড

- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ ৮৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য কংগ্রেস সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন গুজরাটের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ), সুরাট দায়রা আদালত রাহুলকে ২০১৯ সালের মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে দুই মাসের সাজা স্থগিত করে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে সংসদ সদস্য বা বিধায়ক পদ থেকে অযোগ্য হতে পারে। ফলে রাহুলের ক্ষেত্রেও সে আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাহুলের আইনজীবী কিরিট পানওয়ালা বিচারক এইচএইচ বর্মার বেঞ্চে সাজা কমানোর আবেদন করেন। তিনি আদালতে দাবি করেছেন যে রাহুলের মন্তব্যে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, কর্ণাটকে প্রচারে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন সব চোরকে ‘মোদী’ বলা হয়? তিনি আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাঙ্ক-লোন মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা করেছেন। সেই ঘটনায়, বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় গুজরাটে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী।
‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলার জন্য কয়েক বছর আগে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এবার তার পদবি উল্লেখ করে ‘চোর’ ডাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে সাজা ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না রাহুল। এর আগে জবানবন্দি রেকর্ড করার পর বিচারক তাকে ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেন।
১০ অক্টোবর ২০১৯, রাহুল এই মামলায় সুরাট আদালতে হাজির হন। এ সময় তিনি তার অবস্থানে অটল থাকেন এবং জবানবন্দিতে বিচারককে বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।
পরে একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়ের করা মানহানির মামলায় অংশ নিতে আমি সুরাটে এসেছি। আমার মুখ বন্ধ করার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস সমর্থকরা যেভাবে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, আমি তাদের ভালবাসা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।’