ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একাধিকবার গোসল করে রোগ বয়ে আনছেন না তো!

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:২০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দিনে অন্তত দুবার গোসল করার অভ্যাস প্রায় সবারই আছে। সকালে গোসল করে বাইরে যেতে পছন্দ করে এবং কাজ শেষে বাসায় এসে আবার গোসল করেন। এমনও অনেকে আছেন যারা দিনে একাধিকবার গোসল করেন।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দিনে একাধিকবার গোসল করা বা শাওয়ারের নিচে ৩-৪ ঘণ্টা কাটালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

তবে চর্মরোগ চিকিৎসক জয়েস পার্ক যদিও জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। বেশিক্ষণ ধরে গোসল করলেই যে ত্বক কিংবা চুলের ক্ষতি হবে, এমন ধারণাও ঠিক নয়।

হার্ভার্ড হেলথের ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ৬৬ শতাংশ আমেরিকান প্রতিদিন স্নান করে। কেউ বা তার বেশি।

জয়েসের মতে, একজনের কত ঘন ঘন স্নান করা উচিত তা নির্ভর করে ব্যক্তির ত্বক এবং চুলের ধরনের উপর। কিংবা ঘামের পরিমাণ ও ধুলা ময়লা মাখার উপরেও।

তবে যাদের অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক বা ত্বকের সমস্যা যেমন একজিমা তাদের খুব ঘন ঘন গোসল করা উচিত নয়। কারণ একাধিকবার গোসল করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

একই দেশের আরেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জুলি রুসাকের মতে, আমি সাধারণত গরম ঝরনা এবং অতিরিক্ত সাবান এড়িয়ে চলি। কারণ এতে ধুলার পাশাপাশি ত্বকের মাইক্রোবায়োমও ধুয়ে যায়। এই মাইক্রোবায়োম শুধুমাত্র ত্বকের জন্য নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সারাদিনে একবার বা দুবার গোসল করা ভালো। তবে আপনার যদি ত্বকের সমস্যা থাকে, কাজ থেকে ফিরে বা ব্যায়াম করার পরে, শুধুমাত্র সেই জায়গাগুলি ধুয়ে ফেলুন যেখানে ঘাম হয়েছে।

আমেরিকার একটি কসমেটিক কোম্পানির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন হেক্সটলের মতে,ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে গোসল ও প্রসাধনীর ভূমিকাও কম নয়। ত্বকের ধরন বুঝে মুখ বা চুলের জন্য প্রসাধনী কিনলেও দেহের বিষয়ে সবাই ততা সচেতন নন।

একাধিকবার গোসল করে রোগ বয়ে আনছেন না তো!

আপডেট সময় : ০২:২০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দিনে অন্তত দুবার গোসল করার অভ্যাস প্রায় সবারই আছে। সকালে গোসল করে বাইরে যেতে পছন্দ করে এবং কাজ শেষে বাসায় এসে আবার গোসল করেন। এমনও অনেকে আছেন যারা দিনে একাধিকবার গোসল করেন।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দিনে একাধিকবার গোসল করা বা শাওয়ারের নিচে ৩-৪ ঘণ্টা কাটালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

তবে চর্মরোগ চিকিৎসক জয়েস পার্ক যদিও জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। বেশিক্ষণ ধরে গোসল করলেই যে ত্বক কিংবা চুলের ক্ষতি হবে, এমন ধারণাও ঠিক নয়।

হার্ভার্ড হেলথের ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ৬৬ শতাংশ আমেরিকান প্রতিদিন স্নান করে। কেউ বা তার বেশি।

জয়েসের মতে, একজনের কত ঘন ঘন স্নান করা উচিত তা নির্ভর করে ব্যক্তির ত্বক এবং চুলের ধরনের উপর। কিংবা ঘামের পরিমাণ ও ধুলা ময়লা মাখার উপরেও।

তবে যাদের অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক বা ত্বকের সমস্যা যেমন একজিমা তাদের খুব ঘন ঘন গোসল করা উচিত নয়। কারণ একাধিকবার গোসল করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

একই দেশের আরেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জুলি রুসাকের মতে, আমি সাধারণত গরম ঝরনা এবং অতিরিক্ত সাবান এড়িয়ে চলি। কারণ এতে ধুলার পাশাপাশি ত্বকের মাইক্রোবায়োমও ধুয়ে যায়। এই মাইক্রোবায়োম শুধুমাত্র ত্বকের জন্য নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সারাদিনে একবার বা দুবার গোসল করা ভালো। তবে আপনার যদি ত্বকের সমস্যা থাকে, কাজ থেকে ফিরে বা ব্যায়াম করার পরে, শুধুমাত্র সেই জায়গাগুলি ধুয়ে ফেলুন যেখানে ঘাম হয়েছে।

আমেরিকার একটি কসমেটিক কোম্পানির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন হেক্সটলের মতে,ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে গোসল ও প্রসাধনীর ভূমিকাও কম নয়। ত্বকের ধরন বুঝে মুখ বা চুলের জন্য প্রসাধনী কিনলেও দেহের বিষয়ে সবাই ততা সচেতন নন।