ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি নিরিহ পরিবারকে জিম্মি করে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩ ৩৬ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক।।

মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, পিতা-মৃত এনামুল হক চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হক এন্ড সন্স, বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (বিএমটিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমী (আইএমএ), সাং-১২৬৭/এ, রুমানা হক টাওয়ার, গোসাইলডাঙ্গা, ডাকঘর-বন্দর, থানা-ডাবলমুরিং, জেলা-চট্টগ্রাম। তিনি তার পিতার অসুস্থতার সুযোগে কোম্পানিতে তার পিতার ৫১% শেয়ার কোম্পানীর কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাদের সাহায্যে নিজের নামে ট্রান্সফার করে নেন। তার পিতা সুস্থ হয়ে শেয়ার ফেরত চাইলে ফেরত না দেওয়ার কারণে পিতা পুত্রের মধ্যে লিগেল নোটিশ আদান প্রদানও হয়। এরপর তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য পিতার নামে একটি মানি সুট মামলা করেন ২৩/২০১৮ইং চট্টগ্রাম ৩য় যুগ্ম জজ আদালতে। যে মামলা তিনি তার পিতাকে প্রায় ১৬ কোটি পরিমান টাকা চাহিবা মাত্র ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে ধার দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন তার পিতা এ টাকা শোধ করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামালা করেন এবং তার সমস্ত সম্পত্তি μোকাবদ্ধ করে এক তরফা রায় নেন। এ মামলা সম্পর্কে তার পিতা জীবিত অবস্থায় জানতে পারেননি। তিনি তার পিতার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তার পিতার মৃত্যু হলেই সমস্ত সম্পক্তি আত্মসাৎ করার জন্য। সেই মানি সুট মামলা ২৩/২০১৮ইং এর রেফারেন্স টেনে তিনি মো. মঈনুল ইসলাম ও নিশাত ইসলামের বিরুদ্ধে ৭১৬/২২ একটি দেওয়ানী মামলা করেন। মামলাটি করে সমন গোপন করে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা নেন। তিনি গুপ্ত মামলা করতে বেশ ওস্তাদ।
গত ০৯/০৭/২০২৩ইং বিকল ৬.৩০ ঘটিকার সময় অস্ত্রসহ হামলা করে মো. মঈনুল ইসলাম ও নিশাত ইসলামের ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি করে। সে সময় থানা থেকে পুলিশ এসে পড়ে। নিশাত ইসলাম থানায় আভিযোগ করতে গেলে তারা আবার আমার বাসায় হামলা করে (আনুমানিক রাত ৯.৩০ মিনিট)। মো. মঈনুল ইসলাম ও নিশাত ইসলামের নাবালক পুত্র আরিক ইসলাম তূর্নের গলায় ছুড়ি ধরে অন্যদের ফ্ল্যাট খালি করতে বলে এবং সে সময় আমার অফিসের চারজন লোককে মেরে আহত করে বাসা থেকে মেইন গেইটের বাইরে বের করে দেয়। বাসা থেকে বুয়া নিশাতকে ফোন করলে সে থানায় পুলিশকে বলে দ্রুত বাসায় আসে সে সময় তাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। প্রায় ১ ঘন্টার মতো তার ছেলেকে জিম্মি করে রাখে, সে সময় তার অফিসের মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও তার ২ বছরের বাচ্চাকেও মারধোর করে। তারা বলে তারা শরীরে পেট্রল মেরে আগুন ধরিয়ে মেরে ফেলবে। পরে পুলিশ ও সাংবাদিক এসে পড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে নিশাত ইসলামকে বাসায় ঢুকায়।
এরা তাদেরকে অনেক দিন থেকে বিভিনড়বভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে মারপিট, খুন জখম করার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নিশাত ও তার স্বামী এ বিষয় নিয়ে বিভিনড়ব সময় থানায় ৩টি জিডি ও ১টি অভিযোগ করে। এর আগেও তাদের উপর কয়েকবার হামলা করে এমদাদুল হক চৌধুরীর অফিসের কর্মকর্তা-কমর্চারী ও ভাড়া করা গুন্ডাপান্ডারা। গত ১৮/১১/২০২২ইং দুপুরে জুমার নামাজের আগে নিশাতের অফিসের সামনে থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা, অফিসের সাইনবোর্ড ও ২৫টির মতো দামী ওয়াল পেন্টিং খুলে নেয়। অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতে চায় নিশাত ৯৯৯ ফোন করে। কিন্তু বিবাদীগন এতই বেপরোয়া যে তারা কোনো আইন আদালতের ধার ধারে না। পেশি শক্তি ব্যবহার করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্ট করছে। তারা বলে, আমরা তোমাদেরকে এই ফ্ল্যাটগুলো থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে উহার দখল নিবো, তোমরা অন্যত্র চলে যাও না হলে তোমাদের জীবন চলে যাবে, আর যদি বেঁচে না থাকো তাহলে সম্পত্তি দিয়ে কি হবে? এবং উক্ত মামলার বাদীপক্ষ ও তাহাদের লোকজন প্রতিনিয়ত আমাদের চলাফেরাসহ সকল কাজকর্মে বাধা প্রদানসহ (আমাদের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আতড়বীয়-স্বজন, বুয়া, বাচ্চার শিক্ষিক, হুজুরসহ কাউকেই ঢুকতে দেয় না এবং প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্র ঢুকতে বা বের করতে দেয় না, জেনারেট সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছে) বিভিনড়বভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে।
১৬/১১/২০২৩ইং ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ ভেকেট হওয়ার পরও এবং সবশেষ ৩/০৪/২০২৩ইং ঢাকা জেলা জজ আদালত নিষেধাজ্ঞা স্টে করে দিলেও এমদাদুল হক চৌধুরী ও তার গুন্ডাপান্ডারা
নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি লাগিয়ে রেখে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাচ্ছে এবং একটি নিরিহ পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে।

ট্যাগস :

একটি নিরিহ পরিবারকে জিম্মি করে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান

আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক।।

মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, পিতা-মৃত এনামুল হক চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হক এন্ড সন্স, বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (বিএমটিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমী (আইএমএ), সাং-১২৬৭/এ, রুমানা হক টাওয়ার, গোসাইলডাঙ্গা, ডাকঘর-বন্দর, থানা-ডাবলমুরিং, জেলা-চট্টগ্রাম। তিনি তার পিতার অসুস্থতার সুযোগে কোম্পানিতে তার পিতার ৫১% শেয়ার কোম্পানীর কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাদের সাহায্যে নিজের নামে ট্রান্সফার করে নেন। তার পিতা সুস্থ হয়ে শেয়ার ফেরত চাইলে ফেরত না দেওয়ার কারণে পিতা পুত্রের মধ্যে লিগেল নোটিশ আদান প্রদানও হয়। এরপর তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য পিতার নামে একটি মানি সুট মামলা করেন ২৩/২০১৮ইং চট্টগ্রাম ৩য় যুগ্ম জজ আদালতে। যে মামলা তিনি তার পিতাকে প্রায় ১৬ কোটি পরিমান টাকা চাহিবা মাত্র ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে ধার দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন তার পিতা এ টাকা শোধ করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামালা করেন এবং তার সমস্ত সম্পত্তি μোকাবদ্ধ করে এক তরফা রায় নেন। এ মামলা সম্পর্কে তার পিতা জীবিত অবস্থায় জানতে পারেননি। তিনি তার পিতার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তার পিতার মৃত্যু হলেই সমস্ত সম্পক্তি আত্মসাৎ করার জন্য। সেই মানি সুট মামলা ২৩/২০১৮ইং এর রেফারেন্স টেনে তিনি মো. মঈনুল ইসলাম ও নিশাত ইসলামের বিরুদ্ধে ৭১৬/২২ একটি দেওয়ানী মামলা করেন। মামলাটি করে সমন গোপন করে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা নেন। তিনি গুপ্ত মামলা করতে বেশ ওস্তাদ।
গত ০৯/০৭/২০২৩ইং বিকল ৬.৩০ ঘটিকার সময় অস্ত্রসহ হামলা করে মো. মঈনুল ইসলাম ও নিশাত ইসলামের ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি করে। সে সময় থানা থেকে পুলিশ এসে পড়ে। নিশাত ইসলাম থানায় আভিযোগ করতে গেলে তারা আবার আমার বাসায় হামলা করে (আনুমানিক রাত ৯.৩০ মিনিট)। মো. মঈনুল ইসলাম ও নিশাত ইসলামের নাবালক পুত্র আরিক ইসলাম তূর্নের গলায় ছুড়ি ধরে অন্যদের ফ্ল্যাট খালি করতে বলে এবং সে সময় আমার অফিসের চারজন লোককে মেরে আহত করে বাসা থেকে মেইন গেইটের বাইরে বের করে দেয়। বাসা থেকে বুয়া নিশাতকে ফোন করলে সে থানায় পুলিশকে বলে দ্রুত বাসায় আসে সে সময় তাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। প্রায় ১ ঘন্টার মতো তার ছেলেকে জিম্মি করে রাখে, সে সময় তার অফিসের মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও তার ২ বছরের বাচ্চাকেও মারধোর করে। তারা বলে তারা শরীরে পেট্রল মেরে আগুন ধরিয়ে মেরে ফেলবে। পরে পুলিশ ও সাংবাদিক এসে পড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে নিশাত ইসলামকে বাসায় ঢুকায়।
এরা তাদেরকে অনেক দিন থেকে বিভিনড়বভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে মারপিট, খুন জখম করার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নিশাত ও তার স্বামী এ বিষয় নিয়ে বিভিনড়ব সময় থানায় ৩টি জিডি ও ১টি অভিযোগ করে। এর আগেও তাদের উপর কয়েকবার হামলা করে এমদাদুল হক চৌধুরীর অফিসের কর্মকর্তা-কমর্চারী ও ভাড়া করা গুন্ডাপান্ডারা। গত ১৮/১১/২০২২ইং দুপুরে জুমার নামাজের আগে নিশাতের অফিসের সামনে থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা, অফিসের সাইনবোর্ড ও ২৫টির মতো দামী ওয়াল পেন্টিং খুলে নেয়। অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতে চায় নিশাত ৯৯৯ ফোন করে। কিন্তু বিবাদীগন এতই বেপরোয়া যে তারা কোনো আইন আদালতের ধার ধারে না। পেশি শক্তি ব্যবহার করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্ট করছে। তারা বলে, আমরা তোমাদেরকে এই ফ্ল্যাটগুলো থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে উহার দখল নিবো, তোমরা অন্যত্র চলে যাও না হলে তোমাদের জীবন চলে যাবে, আর যদি বেঁচে না থাকো তাহলে সম্পত্তি দিয়ে কি হবে? এবং উক্ত মামলার বাদীপক্ষ ও তাহাদের লোকজন প্রতিনিয়ত আমাদের চলাফেরাসহ সকল কাজকর্মে বাধা প্রদানসহ (আমাদের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আতড়বীয়-স্বজন, বুয়া, বাচ্চার শিক্ষিক, হুজুরসহ কাউকেই ঢুকতে দেয় না এবং প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্র ঢুকতে বা বের করতে দেয় না, জেনারেট সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছে) বিভিনড়বভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে।
১৬/১১/২০২৩ইং ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ ভেকেট হওয়ার পরও এবং সবশেষ ৩/০৪/২০২৩ইং ঢাকা জেলা জজ আদালত নিষেধাজ্ঞা স্টে করে দিলেও এমদাদুল হক চৌধুরী ও তার গুন্ডাপান্ডারা
নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি লাগিয়ে রেখে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাচ্ছে এবং একটি নিরিহ পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে।