ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুমিল্লায় মাদকমুক্ত জাতি গঠনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার Logo চাইনিজ রাইফেলসহ ২ যুবক গ্রেফতার  Logo প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে করিমগঞ্জে মানববন্ধন  Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংস্কার কমিশন প্রধানদের বৈঠক Logo শেরপুরে অবৈধ যান চলাচল বন্ধে যৌথ অভিযানে ১৬ মোটরসাইকেল আটক Logo নওগাঁর সাপাহারে কৃষি ঋণ মেলার উদ্বোধন Logo কোটালীপাড়ায় ৩টি ক্লিনিকে জরিমানা, ১টির কার্যক্রম বন্ধ Logo অপো বাংলাদেশের ১০ম বর্ষপূর্তি: ‘ও ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল’-এ রয়েছে আকর্ষণীয় ‘সুপার অফার Logo সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা Logo সম্পর্ক নেই জানিয়ে আরশকে সতর্ক করলেন তানিয়া বৃষ্টি

ঋতু পরিবর্তনের এসময়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাল ইনফেকশন, এড়াতে সতর্ক থাকুন

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋতু পরিবর্তনের কারণে প্রায় সবাই ভাইরাল জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগে থাকেন। আসলে, ভাইরাল সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোভিডও একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যার কারণে করোনাভাইরাস দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তবে কোভিড বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অন্যান্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। তাই সচেতন হওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এক্ষেত্রে ভাইরাসগুলো দ্রুত নিজের প্রভাব বিস্তার করে ছোট-বড় সবাইকে সমস্যায় ফেলছে। ভাইরাল ইনফেকশন বিভিন্ন ধরনের হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ অ্যাডিনোভাইরাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর লক্ষণসমূহ-
১. জ্বর; ২. ঠান্ডা; ৩. কাশি; ৪. মাথাব্যথা; ৫. শরীর ব্যথা; ৬. বমি করা; ৭. ডায়রিয়া; ৮. ক্লান্তি ইত্যাদি।

ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধে যা করতে হবে-

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ভাইরাসই হাত থেকে মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাই হাত ধোয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। সময় পেলে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। ছোটদেরও এই শিক্ষা দিন। তবেই আপনি সহজেই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

পরিবারের কারো ভাইরাল ইনফেকশন হোক বা না হোক তবে, ব্রাশ- তোয়ালে ইত্যাদি একেজনেরটা অন্যজন ব্যবহার করবেন না। হয়তো শরীরে ভাইরাস থাকার পরও কোনো লক্ষণ আপনার দেখা দেয়নি। আপনি অ্যাসিম্পটোমেটিক। তাই সতর্ক থাকুন।

হাঁচি, কাশির সময় মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তরল বিন্দু। এই তরল বিন্দুর নাম হলো ড্রপলেট। জানলে অবাক হবেন, এই ড্রপলেটে কিন্তু অসংখ্য ভাইরাস থাকে। তাই চেষ্টা করুন হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে হাত দিয়ে রাখার। সম্ভব হলে নিয়মিত মাস্ক পরুন।

এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। বিশেষ করে লেবু খান। এছাড়াও প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। এমনকি ৩০ মিনিটের ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

তরুণ ও বৃদ্ধ সবাইকে এখনই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া উচিত। এই ভ্যাকসিন ভাইরাল সংক্রমণকে গুরুতর করে না। এ সময় পরিবারের কারো হাঁচি, কাশি, জ্বর হলে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঋতু পরিবর্তনের এসময়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাল ইনফেকশন, এড়াতে সতর্ক থাকুন

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋতু পরিবর্তনের কারণে প্রায় সবাই ভাইরাল জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগে থাকেন। আসলে, ভাইরাল সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোভিডও একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যার কারণে করোনাভাইরাস দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তবে কোভিড বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অন্যান্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। তাই সচেতন হওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এক্ষেত্রে ভাইরাসগুলো দ্রুত নিজের প্রভাব বিস্তার করে ছোট-বড় সবাইকে সমস্যায় ফেলছে। ভাইরাল ইনফেকশন বিভিন্ন ধরনের হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ অ্যাডিনোভাইরাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর লক্ষণসমূহ-
১. জ্বর; ২. ঠান্ডা; ৩. কাশি; ৪. মাথাব্যথা; ৫. শরীর ব্যথা; ৬. বমি করা; ৭. ডায়রিয়া; ৮. ক্লান্তি ইত্যাদি।

ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধে যা করতে হবে-

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ভাইরাসই হাত থেকে মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাই হাত ধোয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। সময় পেলে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। ছোটদেরও এই শিক্ষা দিন। তবেই আপনি সহজেই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

পরিবারের কারো ভাইরাল ইনফেকশন হোক বা না হোক তবে, ব্রাশ- তোয়ালে ইত্যাদি একেজনেরটা অন্যজন ব্যবহার করবেন না। হয়তো শরীরে ভাইরাস থাকার পরও কোনো লক্ষণ আপনার দেখা দেয়নি। আপনি অ্যাসিম্পটোমেটিক। তাই সতর্ক থাকুন।

হাঁচি, কাশির সময় মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তরল বিন্দু। এই তরল বিন্দুর নাম হলো ড্রপলেট। জানলে অবাক হবেন, এই ড্রপলেটে কিন্তু অসংখ্য ভাইরাস থাকে। তাই চেষ্টা করুন হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে হাত দিয়ে রাখার। সম্ভব হলে নিয়মিত মাস্ক পরুন।

এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। বিশেষ করে লেবু খান। এছাড়াও প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। এমনকি ৩০ মিনিটের ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

তরুণ ও বৃদ্ধ সবাইকে এখনই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া উচিত। এই ভ্যাকসিন ভাইরাল সংক্রমণকে গুরুতর করে না। এ সময় পরিবারের কারো হাঁচি, কাশি, জ্বর হলে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।