ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলি হামলায় গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু নিহত!

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩ ১২৮ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু নিহত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০ ছুঁয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় সাত হাজার।

জেনেভায় জাতিসংঘের এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমায়ার বলেন, “(ফিলিস্তিনের) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে।”

এই পরিস্থিতিতে, লিন্ডমেয়ারও দাবি করেছেন যে গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ কমাতে চলমান সংঘাতে মানবিক বিরাম কার্যকর করা “জরুরী প্রয়োজন”। তিনি বলেন, ‘গাজার হাজারো লোকের প্রাণহানি হচ্ছে। যারা বেঁচে আছেন তারাও ট্রমা, নানা রোগ এবং খাবার ও পানির অভাবে ভুগছেন। বেঁচে থাকার জন্য এসব মানুষের পানি, জ্বালানি, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার নিরাপদ সরবরাহ প্রয়োজন।’

লিন্ডমেয়ার বলেন, ‘রসদ, কনভয় ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ প্রস্তুত রয়েছে। সবকিছু সেট আপ করা হয়েছে। কিন্তু যা নেই, সেটা হলো-এগুলো নিয়ে গাজায় প্রবেশাধিকার ও এটিই আমাদের প্রয়োজন। রোগীদের সুরক্ষা ও হাসপাতালগুলো যেকোনো উপায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ রাখা প্রয়োজন।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গাজার উত্তরাঞ্চলের হাসপাতালগুলো সম্পর্কে বলেন, ‘ডব্লিউএইচও শুধু ‘একবারই’ এসব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।’

গাজার বিপর্যস্ত হাসপাতালের অধীনে হামাসের টানেল তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে বলে ইসরায়েলের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘হাসপাতালের নিচে কী আছে তা আমরা যাচাই করতে পারি না। আমরা যা যাচাই করতে পারি তা হাসপাতালে এবং মাটির ওপরে যা আছে সেগুলো। হাসপাতালগুলোতে জরুরিভাবে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা জরুরি।’

ইসরাইলি হামলায় গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু নিহত!

আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু নিহত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০ ছুঁয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় সাত হাজার।

জেনেভায় জাতিসংঘের এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমায়ার বলেন, “(ফিলিস্তিনের) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে।”

এই পরিস্থিতিতে, লিন্ডমেয়ারও দাবি করেছেন যে গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ কমাতে চলমান সংঘাতে মানবিক বিরাম কার্যকর করা “জরুরী প্রয়োজন”। তিনি বলেন, ‘গাজার হাজারো লোকের প্রাণহানি হচ্ছে। যারা বেঁচে আছেন তারাও ট্রমা, নানা রোগ এবং খাবার ও পানির অভাবে ভুগছেন। বেঁচে থাকার জন্য এসব মানুষের পানি, জ্বালানি, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার নিরাপদ সরবরাহ প্রয়োজন।’

লিন্ডমেয়ার বলেন, ‘রসদ, কনভয় ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ প্রস্তুত রয়েছে। সবকিছু সেট আপ করা হয়েছে। কিন্তু যা নেই, সেটা হলো-এগুলো নিয়ে গাজায় প্রবেশাধিকার ও এটিই আমাদের প্রয়োজন। রোগীদের সুরক্ষা ও হাসপাতালগুলো যেকোনো উপায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ রাখা প্রয়োজন।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গাজার উত্তরাঞ্চলের হাসপাতালগুলো সম্পর্কে বলেন, ‘ডব্লিউএইচও শুধু ‘একবারই’ এসব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।’

গাজার বিপর্যস্ত হাসপাতালের অধীনে হামাসের টানেল তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে বলে ইসরায়েলের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘হাসপাতালের নিচে কী আছে তা আমরা যাচাই করতে পারি না। আমরা যা যাচাই করতে পারি তা হাসপাতালে এবং মাটির ওপরে যা আছে সেগুলো। হাসপাতালগুলোতে জরুরিভাবে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা জরুরি।’