ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

- আপডেট সময় : ০২:৪২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৯৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে চরম ধাক্কা আসে। যার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, পণ্যের দাম বেড়েছে। এই সময়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছি। আমরা আমাদের সরকারি কর্মকর্তা ও দলের নেতাদের ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের লোকদের সাহায্য করতে বলেছি। ইফতার পার্টি করা বড় কথা নয়, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। সেটাই আমরা করছি।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা নিজ উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন তাদের পুরস্কৃত করা সবচেয়ে বড় কথা। এই পুরস্কার শুধু পুরস্কার নয়, আরও অনেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হবে, সেটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণে কাজ করা এমন আরও লোকদের বের করে পুরস্কৃত করতে চাই।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমরা নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। স্বাধীনতার মাসে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি ঘৃণা জানাই। আর যেনো এরকম না হয়। এখনও ফিলিস্তিতে গণহত্যা চলছে, আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এই গণহত্যা বন্ধ হোক। আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন আমরা জানি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করায় অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। একটাই লক্ষ্য ছিল, বাবার কাছ থেকে তার স্বপ্ন জনতাম বলে সে আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। আমরা বাংলাদেশের সে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাংলাদেশে ভাগ্য পরিবর্তনে। এখানে কেউ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না। সবাই খাদ্য, চিকিৎসা পাবে, সেই ব্যবস্থা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, আমরা বিজয়ের কথা বলতে পারিনি। মু্ক্িতযোদ্ধা নিজের পরিচয় দিতে পারেনি। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। একদিকে খুনি, আরেকদিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজত্ব ছিল।